‘ঈদের ছুটির আগেই পোশাক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করা হবে’
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির আগে পোশাক শ্রমিকদের মার্চ মাসের বেতন ও ঈদের বোনাস পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী।
বুধবার (২০ মার্চ) সচিবালয়ে আরএমজি সেক্টর সংক্রান্ত ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের ১৭তম সভা শেষে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আগামী ১০ বা ১১ এপ্রিল দেশে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মালিক ও শ্রমিক নেতারা এমন সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা করেছি যে, আগামী ঈদকে সামনে রেখে কোনো ধরনের শ্রমিক অসন্তোষ বা কোনো অঘটন ঘটবে বলে আমরা মনে করি না। তাদের সমস্যাগুলো সমাধান হয়ে গেছে। যেগুলো সমাধান হয়নি, সেগুলো সমাধানের বিষয়ে আমরা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আমরা আশা করি আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।
তিনি বলেন, সভায় উচ্চস্বরে একটা কথাও হয়নি। আমরা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কথা বলেছি। তিন পক্ষ মিলে আমরা সিদ্ধান্তগুলো গ্রহণ করেছি। আশা করি এ সিদ্ধান্তগুলোর আলোকে আগামী ঈদ শুভ হবে, সুন্দর হবে।
আরও পড়ুন
এস এম মান্নান কচির নেতৃত্বে সবকটি পদে ‘সম্মিলিত পরিষদ’ জয়ী
বাংলাদেশের শ্রম অধিকার নিয়ে ২ দেশের সমালোচনা
বেতন, ঈদ বোনাস কবে পরিশোধ করা হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, করবে। ঈদের ছুটির আগেই শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস দেওয়া হবে। কোনো নির্দিষ্ট তারিখ বেঁধে দেওয়া হয়নি। কোন ইন্ডাস্ট্রির মালিক কখন দিতে পারবে, কখন দিতে পারবে না, সেটা তো আমরা জানি না। আমরা বলেছি ঈদের ছুটির আগে দিতে হবে।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ঈদের আগে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না। এটা আমাদের কড়া নির্দেশনা।
পোশাক কারখানার মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিরা বেতন ও বোনাস পরিশোধের সিদ্ধান্তে একমত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
শিল্প পুলিশ, শ্রম অধিদপ্তর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর ও গোয়েন্দা সংস্থা সমন্বিতভাবে মাঠে কাজ করবে, সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পোশাক শ্রমিকদের রেশন দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এটা আমি চেষ্টা করবো। আমার দৃঢ় বিশ্বাস মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে অবহিত করলে তিনি এটা গ্রহণ করবেন। আমরা শ্রমিকদের জন্য রেশনিংয়ের ব্যবস্থা করবো ইনশাআল্লাহ। আমি আশা করি, যথাসম্ভব শিগগিরই আমি এটা চালু করবো ইনশাআল্লাহ।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বোর্ডের সভায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সেখানে আইনমন্ত্রী এবং আমি বক্তব্য রেখেছি। তারা আমাদের দাবি গ্রহণ করেছেন। ভোটের মাধ্যমে তারা সেটা গ্রহণ করেছেন। বেশিরভাগ দেশ বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলো আমাদের ভোট দিয়েছে। আমি মনে করি এটা আমাদের জন্য বিশাল একটা বিজয়।
সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. মাহবুব হোসেনসহ পোশাক কারখানার মালিক ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরএমএম/এমএইচআর/জেআইএম