সিটি-পৌর এলাকায় বর্জ্য পোড়ানো নিষিদ্ধ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৩৭ পিএম, ১৭ মার্চ ২০২৪

সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন এলাকায় ময়লা-আবর্জনা, পৌর বর্জ্য, গাছের লতাপাতা এবং বায়োমাস উন্মুক্তভাবে পোড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

বর্জ্য পোড়ানো নিষিদ্ধ করে সম্প্রতি স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

স্থানীয় সরকার সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্তের আলোকে বায়ুদূষণ প্রতিরোধে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের আওতাধীন এলাকায় ময়লা-আবর্জনা, পৌর বর্জ্য, গাছের লতাপাতা এবং বায়োমাস উন্মুক্তভাবে পোড়ানো নিষিদ্ধ করা হলো। জৈব আবর্জনা, গাছের লতাপাতা এবং বায়োমাস না পুড়িয়ে নির্দিষ্ট স্থানে গর্তের মধ্যে সংরক্ষণ করে জৈব সার বা কম্পোস্ট তৈরি করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

এ নির্দেশনা অমান্য করা হলে সংশ্লিষ্ট দপ্তর/সংস্থা/প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে জবাবদিহির আওতায় আনা হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

বায়ুদূষণ রোধে ১২ নির্দেশনা:

সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকায় বায়ুদূষণ (ধূলিদূষণ) নিয়ন্ত্রণে ‘বায়ুদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২২’ ও বায়ুদূষণ রোধ নির্দেশিকা প্রতিপালনসহ ১২টি কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আধা সরকারি পত্রের পরিপ্রেক্ষিতে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলোকে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

১। সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার আওতায় পরিচালিত নির্মাণ কাজের সময় ধূলাবালি নিয়ন্ত্রণে পানি ছিটানো, নির্মাণ সামগ্রী ঢেকে পরিবহন ও মজুত করা এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ধূলিদূষণ নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত বেষ্টনীর ব্যবহার।

২। রাস্তায় পার্শ্ববর্তী ড্রেন বা নর্দমা হতে ময়লা/বর্জ্য উত্তোলন করে উন্মুক্ত স্থানে ফেলে না রেখে দ্রুত নির্দিষ্ট স্থানে পরিবহন।

৩। রাস্তার উন্নয়ন কাজ যথাসম্ভব রাত্রিকালীন সম্পন্ন করা ও নির্ধারিত স্থানটি যথাসম্ভব বেষ্টিত রেখে দৈনিক একাধিকবার নিয়মিত পানি ছিটানো।

৪। রাস্তায় বিভিন্ন ইউটিলিটি সার্ভিস (যেমন- পানি, গ্যাস, বিদ্যুৎ ইত্যাদি) স্থাপন বা মেরামতে বার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করা, যাতে একই রাস্তা বারবার খোড়াখুড়ি করতে না হয়। সার্ভিস ফ্যাসিলিটিস স্থাপন বা মেরামত শেষে ধূলাবালি নিয়ন্ত্রণে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাস্তা কার্পেটিং করে পরিচ্ছন্ন পরিবেশ সৃষ্টি করা।

৫। উন্মুক্ত স্থানে আর্বজনা ফেলে না রাখা এবং বিভিন্ন স্থানে বর্জ্য পোড়ানো রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ।

৬। শহরের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের উন্নয়ন কার্যক্রমে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনকালে যথাযথ নির্দেশনাবলী অন্তর্ভুক্ত করে নিয়মিত পরিবীক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ।

৭। অবকাঠামো নির্মাণ ও মেরামত এবং ইউটিলিটি সার্ভিসের অবকাঠামো স্থাপনে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পরিবেশগত ছাড়পত্র গ্রহণ ও ছাড়পত্রের শর্তাবলী অনুসরণ।

৮। রাস্তার অনাবৃত/ক্ষতিগ্রস্ত/ভাঙা অংশ, ফুটপাত এবং সড়কদ্বীপ দ্রুত মেরামত করা।

৯। রাস্তায় জমে থাকা ধূলাবালি নিয়মিতভাবে ভ্যাকুয়াম সুইপিং ট্রাকের মাধ্যমে সরিয়ে নেয়া।

১০। রাস্তার পার্শ্ববর্তী ক্ষতিগ্রস্ত অনাবৃত স্থানসমূহ কংক্রিট কভার অথবা ঘাস লাগিয়ে আবৃত করা;

১১। বিভিন্ন মার্কেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকান-পার্টের ধূলা-বালি ও ময়লা-আর্বজনা ঝাড়ু দিয়ে সড়কে ফেলার কার্যক্রম প্রতিরোধ করা।

১২। কমিউনিটিভিত্তিক পরিচ্ছন্নতা টিম গঠন ও তাদের কার্যক্রম ত্বরান্বিতকরণ।

আরএমএম/এসএনআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।