বিবিএসের জরিপ
শিশু শ্রমিক সবচেয়ে বেশি অটোমোবাইল ওয়ার্কশপে
দেশের ৫-১৭ বছর বয়সী শিশুরা বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ খাতে কাজ করছে। এরমধ্যে পাঁচটি খাতে ৩৮ হাজার আটজন শিশু কাজ করছে। যার ৯৭ দশমিক ৫ শতাংশই ছেলে। সবচেয়ে বেশি কাজ করছে অটোমোবাইল ওয়ার্কশপে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত শিশুশ্রমের জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিবিএস বলছে, বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ৪৩টি সেক্টরকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এসব খাতের তালিকা থেকে পাঁচটি খাত নির্বাচন করে বিবিএস।
এগুলো হলো- ১. মাছ, কাঁকড়া, শামুক, ঝিনুক সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ, ২. চামড়ার তৈরি পাদুকা শিল্প, ৩. লোহা ও ইস্পাত ঢালাই, ৪. মোটর যানবাহন মেরামত বা অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ, এবং ৫. স্থানীয় টেইলারিং এবং পোশাক সেক্টর।
জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, ৩৮ হাজার আটজন শিশু উপরোক্ত সেক্টরগুলোতে কাজ করছে। এদের বয়স হবে ৫-১৭ বছরের মধ্যে। ৪০ হাজার ৫২৫টি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে এসব শিশুরা। ঝুঁকিপূর্ণ সেক্টরে নিয়োজিত শিশুদের মধ্যে ৯৭ দশমিক ৫ শতাংশ ছেলে এবং ২ দশমিক ৫ শতাংশ মেয়ে।
আরও পড়ুন:
এই পাঁচটি সেক্টরে শ্রমজীবী মোট শিশুর সংখ্যা হলো যথাক্রমে শুটকি মাছ উৎপাদনে ৮৯৮, চামড়ার পাদুকা তৈরিতে পাঁচ হাজার ২৮১টি, ওয়েল্ডিং বা গ্যাস বার্নার ম্যাকানিকের কাজে চার হাজার ৯৯, অটোমোবাইল ওয়ার্কশপে ২৪ হাজার ৯২৩ এবং অনানুষ্ঠানিক ও স্থানীয় টেইলারিং বা পোশাক খাতে দুই হাজার ৮০৫ জন। এসব খাতে কর্মরত শিশুর ৩৫ দশমিক ৭ শতাংশ পল্লী এবং ৬৪ দশমিক ৩ শতাংশ শহর এলাকায় বসবাস করে।
এ জরিপের মাধ্যমে একজন শ্রমজীবী শিশু কি কি ধরনের বিপজ্জনক কাজ করতে পারে, তা চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। আনুমানিক ১৯ দশমিক ১ শতাংশ ছেলে এবং ৭ দশমিক ৭ শতাংশ মেয়ে শিশু ভারী বোঝা বহন, মালামাল টানার কাজে, অধিক ওপরে বা ফ্লোর থেকে উচ্চতায় উঠে কাজ করে প্রায় ৮ দশমিক ১ শতাংশ ছেলে এবং ০.৩ শতাংশ মেয়ে শিশু।
আরও পড়ুন:
আইএলও সহযোগিতায় বিবিএস বাংলাদেশে তার নিজস্ব প্যাটার্নে এই জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। জরিপের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল ২০২৩ সালের ৩ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত। এ জরিপটি নির্বাচিত ০৫টি সেক্টরে নিয়োজিত শিশুদের কাজের প্রকৃতি এবং শিশুদের সাধারণ বৈশিষ্ট্যসমূহ তুলে ধরে।
জরিপ প্রতিবেদনটি এই সেক্টর সমূহের শ্রমজীবী শিশুদের জীবনের বিভিন্ন দিক যেমন পারিবারিক বৈশিষ্ট্য, আর্থসামাজিক বৈশিষ্ট্য এবং কর্মসংস্থান সম্পর্কিত প্রেক্ষাপট তুলে ধরে।
এমওএস/জেডএইচ/জিকেএস