বাংলাদেশি জাহাজটি এখন সোমালিয়ার গারাকাড উপকূলে
জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ বর্তমানে সোমালিয়ার গারাকাড উপকূল থেকে ২০ মাইল দূরে অবস্থান করছে।
ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম ব্যুরোর (আইএমবি) বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার গারাকাড উপকূল থেকে ২০ মাইল দূরে অবস্থান করছে। গারাকাড উপকূলে পৌঁছাতে জাহাজটির আর মাত্র দুই ঘণ্টার মতো সময় লাগতে পারে।’
এর আগে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে থাকে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। সে সময় জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে ৪৫০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল। বর্তমানে সেখানে জিম্মি আছেন ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু।
আরও পড়ুন
- সোমালি জলদস্যু কারা, তারা কতটা শক্তিশালী?
- নাবিক নাজমুলের জিম্মির খবরে অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে বাবা-বোন
- একমাত্র ছেলের জন্য কেঁদেই চলেছেন বাবা-মা, বন্ধ খাওয়া-দাওয়া
- নাবিক রাজুর বাড়িতে কান্নার রোল, বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা
আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে জাহাজটি জলদস্যুর কবলে পড়ে। এরপর বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জাহাজটি ভারত মহাসাগর থেকে সোমালিয়া নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করে দস্যুরা। বুধবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে এমভি আবদুল্লা সোমালিয়া উপকূল থেকে প্রায় ২৭৫ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছিল।
এমভি আব্দুল্লাহ দেশের শীর্ষ শিল্পগ্রুপ কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজ। এটি একটি বাল্ক কেরিয়ার। এর দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্ত ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। প্রথমে জাহাজটির নাম ছিল ‘গোল্ডেন হক’। বাংলাদেশের কেএসআরএম গ্রুপের বহরে যুক্ত হওয়ার পর এর নাম হয় ‘এমভি আবদুল্লাহ’।
এএজেড/এমআরএম/এমএস