বিল্ডিং অ্যান্ড গ্লোবাল ফোরামে ৯ দফা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:৪৫ এএম, ১২ মার্চ ২০২৪

পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণ, নির্মাণশিল্পে দক্ষ জনবল তৈরি, পরিবেশবান্ধব নির্মাণসমাগ্রী ব্যবহার উৎসাহিত করাসহ ৯ দফা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে শেষ হলো বিল্ডিং অ্যান্ড গ্লোবাল ফোরাম ২০২৪ এর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক।

৭-৮ মার্চ ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বিশ্বের ৭০ দেশের এক হাজার ৪০০ প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। ফ্রান্স সরকার ও জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি যৌথ উদ্যোগে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। তিনি পরিবেশ সুরক্ষা, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ তুলে ধরেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কম কার্বন নিঃসরণকারী দেশ হলেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় রয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলা ও দুর্যোগঝুঁকি হ্রাসে বাংলাদেশ যথেষ্ট সফল। তিনি পরিবেশ সুরক্ষা ও দুর্যোগঝুঁকি হ্রাসে প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা ও নেওয়া উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ বর্ণনা করেন।

বৈঠকে কপ২৮ সম্মেলনে নেওয়া সিদ্ধান্ত বিশেষ করে ২১০০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস সীমাবদ্ধ রাখা, টেকসই ভবন নির্মাণ ও সংস্কারে অপর্যাপ্ত পদক্ষেপ ইত্যাদি বিষয়ে বক্তারা গুরুত্বারোপ করেন। তারা নির্মাণশিল্পে প্রাকৃতিক সম্পাদের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার এবং পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যে এর ক্ষতিকর প্রভাবের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।

পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা কোনো দেশ, জাতি বা গোষ্ঠীর একার পক্ষে সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা ও সমন্বয় একান্ত প্রয়োজন। এই সহযোগিতার ক্ষেত্র তৈরিতে ফোরামের সব সদস্য ঐকমত্য পোষণ করেন।

বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা শেষে নয় দফা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি গৃহীত হয়। কার্বন নিঃসরণ বিহীন ভবন ও জ্বালানি ব্যবহার নীতি প্রণয়ন, প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা প্রতিষ্ঠা ও আইনি কাঠামো প্রস্তুত করা, সাশ্রয়ী, কার্বন নিরপেক্ষ ও টেকসই স্থাপনা নির্মাণে আর্থিক প্রণোদনা নীতি প্রণয়ন, ব্যয়সাশ্রয়ী, দীর্ঘস্থায়ী ও নিম্ন কার্বন নিঃসারী নির্মাণসামগ্রী উৎপাদন, উন্নয়ন ও ব্যবহার উৎসাহিত করা এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে এ সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও পারস্পারিক আদান প্রদানের প্রতিশ্রুতি সিদ্ধান্তসমূহের মধ্যে অন্যতম।

এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে জি-৭, জি-২০, জি-৭৭ সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনের সহযোগিতা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনার উদ্দেশ্যে গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর বিল্ডিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশনের নিয়ন্ত্রণে একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় কাউন্সিল গঠনের প্রস্তাব গৃহীত হয়। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলায় ‘প্যারিস চুক্তি’ বাস্তবায়নে এই সম্মেলন একটি কার্যকর ও বাস্তবভিত্তিক পদক্ষেপ।

আইএইচআর/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।