চলতি বছরে সৌদি যুবরাজ ঢাকা সফর করতে পারেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বাংলাদেশে সফরে আসার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুরস্ক, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে টানা সফর নিয়ে ব্রিফিংকালে এ কথা জানান তিনি।
ড. হাছান জানান, ১ মার্চ থেকে তুরস্কে তিনদিনের আনাতোলিয়া ডিপ্লোম্যাটিক ফোরামে ১৯ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানসহ ৭৩ টি দেশের পররাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ক মন্ত্রীদের সম্মেলনে যোগদানটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের পর বিভিন্ন দেশের সরকারপ্রধান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে সামনাসামনি পরিচিত হতে অত্যন্ত সহায়ক ছিল।
আনাতোলিয়া ফোরামের সাইডলাইনে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান ও সুইজারল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইগন্যাসিও ক্যাসিসের সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ক্ষেত্রসহ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার কথা জানান হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবের জেদ্দায় ৫ মার্চ গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বিশেষ বৈঠকে বাংলাদেশের সুদৃঢ় অবস্থান ও ইসরায়েলকে বয়কট করার প্রস্তাব অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে। পাশাপাশি সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ এবং ওআইসি মহাসচিব হিসেন ব্রাহিম তাহার সঙ্গে সাক্ষাৎ অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিল। সৌদি আরবে প্রায় ৩০ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছে এবং দেশটিতে বাংলাদেশিদের জন্য অগ্রাধিকার রয়েছে বলে জানিয়েছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সৌদি আরবের সঙ্গে আগের শুধু জনশক্তি রপ্তানির সম্পর্ককে বহুমাত্রিক সম্পর্কে রূপ দিয়েছে এবং সৌদিতে ১০ বিলিয়নসহ পুরো গালফ দেশগুলোতে ৫০ বিলিয়ন গাছ লাগানোর উদ্যোগে বাংলাদেশ অংশ নেবে। এ বছরের দ্বিতীয়ার্ধে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বাংলাদেশ সফরে আসার কথা রয়েছে।
৮ ও ৯ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং মানবসম্পদ ও এমিরেটাইজেশন বিষয়ক মন্ত্রী ড. আব্দুল রহমান আল আওয়ারের সঙ্গে বৈঠকের পরও আলোকপাত করেন হাছান মাহমুদ।
হাছান মাহমুদ বলেন, দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ইউএইর রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশ সফরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণপত্র দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহকে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ইউএইর মানবসম্পদমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে আমিরাতে বাংলাদেশি স্নাতক নার্স, কেয়ারগিভার, স্বাস্থ্যসেবা টেকনিশিয়ান, কৃষিবিদ ও কৃষক এবং বিভিন্ন পেশাজীবীসহ সব কর্ম অঙ্গনে আরও বাংলাদেশিদের নিয়োগের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন দুই মন্ত্রী।
আইএইচআর/এমএএইচ/এএসএম