প্রথমবার ফ্লাইট পরিচালনায় পাইলট থেকে শুরু করে সবাই নারী
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনায় পাইলট থেকে শুরু করে গ্রাউন্ড স্টাফ সবাই ছিলেন নারী। শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুর ২টায় ঢাকা-দাম্মাম রুটে এ ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়।
বিশ্ব নারী দিবস উপলক্ষে প্রথমবারের মতো ব্যতিক্রম এ আয়োজন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। নারী ক্রু (ককপিট ও কেবিন ক্রু) সমন্বয়ে ফ্লাইট বিজি-৩৪৯ পরিচালনা করা হয়েছে। ফ্লাইটের ক্রুদের ব্রিফিং, চেক-ইন কাউন্টার, ফ্লাইট কভারেজ, কেবিন ক্রু এবং ককপিট ক্রু সবাই ছিলেন নারী। এ ছাড়া পাইলট হিসেবে ফ্লাইট পরিচালনা করেন বিমানের সিনিয়র নারী ক্যাপ্টেন আলিয়া মান্নান ও ফার্স্ট অফিসার ফারিহা তাবাসসুম।
বিমানের সিনিয়র নারী ক্যাপ্টেন আলিয়া মান্নান
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে একটি স্মার্ট এয়ারলাইন্স হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পুরুষ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায় সমানভাবে কাজ করে চলছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নারীরা। দক্ষতা আর পেশাদারত্বের অসামান্য অবদান রাখা বিমানের নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে বিশ্ব নারী দিবসে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিমের নির্দেশনায় নেওয়া হয় এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক প্রশাসন একজন নারী। এ ছাড়া মহাব্যবস্থাপক জনসংযোগ, প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা, মহাব্যবস্থাপক গ্রাহক সেবা নারী। বিমানে রয়েছে ১৫ জন অভিজ্ঞ নারী পাইলট, যা পুরুষ ও নারী পাইলটদের আন্তর্জাতিক গড় ৬ শতাংশের প্রায় দ্বিগুণ (১০ দশমিকর ৪)। বিমানে রয়েছে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ ৩৪৫ জন নারী কেবিন ক্রু। এছাড়া গ্রাউন্ড স্টাফ, নারী প্রকৌশলী, নারী প্রকৌশল ইন্সট্রাক্টরসহ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সব শাখায় রয়েছে নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী। বিমানের নারী পাইলট, কেবিন ক্রু, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সর্বস্তরের নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সমাজের সব নারীদের অনুপ্রেরণা যোগায়, সত্য প্রমাণ করে এ বছরের নারী দিবসের প্রতিপাদ্যকে।
এমএমএ/এমএএইচ/এএসএম