জঙ্গি অভিযানে প্রথম র্যাব-৬, অস্ত্র উদ্ধারে র্যাব-১৫
‘স্মার্ট বাংলাদেশ স্মার্ট র্যাব’ স্লোগানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ২০০৪ সালে স্বাধীনতা দিবসের প্যারেডে অংশ নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে র্যাব।
দেশে জঙ্গিবাদ নির্মূলে র্যাব বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। ২০০৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ টানা ৩৩ ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধকর অভিযান চালিয়েনিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) আমির শায়খ আব্দুর রহমানকে সিলেটের শাপলাবাগ থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। প্রতিষ্ঠার পর এটিই ছিল র্যাবের সবচেয়ে আলোচিত অভিযান ও সবচেয়ে বড় সাফল্য।
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা চালিয়ে জঙ্গি সংগঠন জেএমবি তাদের শক্তি জানান দেওয়ার পরপরই মাঠে নামে র্যাব গোয়েন্দারা। এরপর গ্রেফতার করা হয় সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলাভাই, সামরিক শাখার প্রধান আতাউর রহমান সানিসহ শত শত জঙ্গিকে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০২৩ সালে জঙ্গি অভিযানে প্রথম হয়েছে র্যাব-৬, দ্বিতীয় হয়েছে র্যাব-১ এবং তৃতীয় হয়েছে র্যাব-১৪। এদিকে ২০২৩ সালে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে প্রথম হয়েছে র্যাব-১৫, দ্বিতীয় হয়েছে র্যাব-১২ এবং তৃতীয় হয়েছে র্যাব-৫। মাদক উদ্ধারে প্রথম হয়েছে র্যাব-১৫, দ্বিতীয় র্যাব-৫ এবং তৃতীয় হয়েছে র্যাব-১০। সার্বিকভাবে অভিযানে প্রথম হয়েছে র্যাব-১৫, দ্বিতীয় হয়েছে র্যাব-৫ এবং তৃতীয় হয়েছে র্যাব-১১। র্যাবে শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রথম হয়েছে র্যাব-৯, দ্বিতীয় র্যাব-৫ আর তৃতীয় হয়েছে র্যাব-১৫।
এদিকে পেশাগত কাজে অসামান্য অবদানের জন্য র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) পদক পেয়েছেন ১২০ সদস্য। সেবা ও সাহসিকতার জন্য তারা এ পদক অর্জন করেন।
দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত ৩৩ র্যাব সদস্যের পরিবারের হাতে সম্মাননা ও আর্থিক অনুদান তুলে দেন র্যাব মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন। বুধবার (৬ মার্চ) এলিট ফোর্স র্যাবের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
টিটি/এমএএইচ/জিকেএস