বেইলি রোডে কর্মচাঞ্চল্য ফিরলেও নীরবে দাঁড়িয়ে গ্রিন কোজি কটেজ
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২৯ পিএম, ০১ মার্চ ২০২৪
রাজধানীর বেইলি রোডে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। এখন সড়কে যানজট তৈরি হচ্ছে, শোরুম, শপিংমলের বেশিরভাগ খুলেছে যে যার মতো। পিঠাঘর ও খাবার হোটেলে রান্নাবান্না খাবার দাবার চলছে। ফুটপাতেও বসেছে ফুচকা, চটপটি, মুড়ি মাখানোর দোকান। শুধু নীরবে কঙ্কালসার দাঁড়িয়ে রয়েছে আগুনে পুড়ে যাওয়া গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটি।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার (১ মার্চ) রাত ৮টা পর্যন্ত ৪৬ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। ঘটনার সময় আগুনের লেলিহান শিখায় প্রতিটি দোকানের আসবাব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
অন্যদিকে, পুড়ে যাওয়া গ্রিন কোজি কটেজটি এক নজর দেখতে ভিড় করছেন উৎসক জনতা। অনেকেই মোবাইল ফোনে ছবি তুলছেন। কেউ কেউ নিজ পরিবারকে ভিডিও কলের মাধ্যমে দেখাচ্ছেন ভবনটি। তাদের উপস্থিতিতে যানজট সৃষ্টি হয়েছে বেইলি রোডে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঝে মধ্যেই উৎসক জনতা সরিয়ে দিচ্ছেন।
বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশার কারণে বেইলি রোডে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। ভিকারুন্নেসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ পর্যন্ত যানজট ঠেকেছে। পুরো বেইলি রোডের প্রতিটি দোকান, মার্কেট, বিভিন্ন শোরুম, পিঠাঘর ও খাবার হোটেলগুলো খুলছে আগের মতোই। তবে, ক্রেতা সমাগম নেই।
এর মধ্যে শুধুই ব্যতিক্রম গ্রিন কোজি কটেজ নামের বিল্ডিং। কঙ্কালসার অবস্থায় রয়েছে এটি। পুড়ে যাওয়া কাচ, ফার্নিচারের টুকরো পড়ে আছে নিচে। এখনো পুলিশি বেরিকেট দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে ভবনকে। সাধারণ পথচারীরা অতিক্রমকালে মোবাইল ফোনে ছবি-ভিডিও করার চেষ্টা করছেন।
মামুন আবদুল্লাহ নামে একজন এসেছেন পুড়ে যাওয়া ভবন দেখতে। তিনি বলেন, প্রায় প্রতিদিন বন্ধুরা মিলে বেইলি রোডে আড্ডা দিতাম। আজও বাসা থেকে এসেছি। তবে কোনো রেস্টুরেন্টে বসিনি। ভবনটি দেখছি কীভাবে এত মানুষের প্রাণ গেলো। বাসায় অন্যদের দেখাতে ভিডিও কল করেছি, তারাও অনেক কষ্ট পেয়েছে।
গ্রিন কোজি কটেজের পিৎজা ইনে কর্মরত সেলস এক্সিকিউটিভ সালমান আলিফ জানান, এর প্রথমতলা স্যামসাং মোবাইলসহ মোট দুইটি মোবাইলের দোকান ছিল। সঙ্গে ছিল গ্যাজেট, মেজবানি ও ওয়েফেল রেস্টুরেন্ট। দ্বিতীয় তলায় ছিল কাচ্চি ভাই ও শেখ হোলি। তৃতীয় তলায় একটি পাঞ্জাবির শোরুম ও ইলিয়েন রেস্টুরেন্ট। চতুর্থ তলায় জেএসটি রেস্টুরেন্ট, পঞ্চমতলায় ক্যাফে ফেমাস রেস্টুরেন্ট, ষষ্ঠতলায় হাক্কা-ঢাক্কা ও কোকো রেস্টুরেন্ট এবং শেষতলায় ছিল এমব্রোসিয়া রেস্টুরেন্ট।
ইএআর/এমএএইচ/এএসএম