ঝালকাঠিতে পৌর কর্মকর্তাদের নামফলক ভাঙচুর


প্রকাশিত: ১০:৫৬ এএম, ১২ এপ্রিল ২০১৬

ঝালকাঠি পৌরসভার কর্মকর্তাদের কাজে বাধা, হুমকি ও নাম ফলক ভাঙচুর করায় জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। কর্মকর্তারা আতঙ্কে তাদের দাফতরিক কাজ করতে পারছেন না।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পৌর সভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবু হানিফ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, হিসাব রক্ষক কর্মকর্তা মনিরুদ্দোজা হারুন, বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা রোজিনা আক্তার, বিদ্যুত বিভাগের প্রকৌশলী নাজমুল হোসেন ও সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল করীমের অফিসের সামনে নাম ফলক নেই। এসব কর্মকর্তারা কেউ অফিসেও নেই।
 
পৌরভবনে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় প্যানেল মেয়র ও ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেজাউল করীম জাকির, ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাহবুবুজ্জামান স্বপন, ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হুমায়ুনক বীর ও ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন

পৌর প্যানেল মেয়র-২ ও ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকির বলেন, ২০ মার্চ নির্বাচনে মেয়র পদে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন লিয়াকত আলী তালুকদার এবং পরাজিত হন মেয়র আফজাল হোসেন। মনোনয়ন না পাওয়ায় আফজাল নিজেকে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতা দাবি করে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপিকেও বিষোদগার করেন।

নির্বাচনে পরাজিত হয়ে নির্বাচনী ব্যয় তুলতে তিনি পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনৈতিকভাবে ফাইল করে অর্থ আত্মসাৎ করতে অস্ত্র দেখিয়ে চাপ প্রয়োগ করেন। ৮২ জন পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাঁচার উপায় না দেখে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে এর প্রতিকার পেতে আবেদন করেন। এতে আফজাল ক্ষিপ্ত হয়ে তার ব্যক্তিগত কর্মচারী ইমনকে দিয়ে কর্মকর্তাদের নাম ফলক ভাঙচুর করেন। গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা পৌর পরিষদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।  

এ ব্যাপারে মেয়র আফজাল হোসেন বলেন, আমি পৌরসভায় সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ছিলাম। তখন কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমি বের হবার সময় কয়েকজন কাউন্সিলরকে প্রবেশ করতে দেখেছি। কারা করেছে তা আমি জানি না।
 
আতিকুর রহমান/এফএ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।