বেইলি রোডে আগুন
ছেলেদের কান্না থামাতে রেস্টুরেন্টে যান নাজিয়া, রইলো না বেঁচে কেউ
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:৫৭ এএম, ০১ মার্চ ২০২৪
রাজধানীর বেইলি রোডে বসবাস করেন আশিক ও নাজিয়া দম্পতি। ব্যবসায়ী আশিক তখন বনানীতে নিজ অফিসে ছিলেন। সন্ধ্যায় স্ত্রী নাজিয়া ফোন করে বলেন, ‘বাচ্চা দুইটা কান্না করছে, কী করবো?’ বাচ্চাদের কান্না থামাতে আশিক সন্তানদের নিয়ে রেস্টুরেন্টে খেতে যেতে বলেন। বেইলি রোডের আগুন লাগা ভবনের তৃতীয় তলায় দুই ছেলে আয়াত (৮) এবং আয়ানকে (৬) নিয়ে খাবার খেতে যান নাজিয়া। সেখানেই দুই সন্তানসহ আগুনে পুড়ে মারা যান তিনি।
শুক্রবার (১ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে জাগো নিউজের কাছে এভাবেই ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন আশিকের ফুফাতো ভাই রিফাত।
আরও পড়ুন
জাগো নিউজকে রিফাত বলেন, সন্ধ্যার পরে বাচ্চাদের কান্নার কথা ভাইয়াকে ফোনে জানান ভাবি। পরে ভাইয়ার (আশিক) অনুমতি নিয়ে ভাবি দুই ছেলেকে নিয়ে ওই ভবনের তৃতীয় তলায় থাকা ‘খানাস’ রেস্টুরেন্টে যান। সাড়ে ১০টার দিকে ভাবি ভাইয়াকে ফোনে জানান- রেস্টুরেন্টে আগুন লেগেছে, ছোট ছেলে আয়ানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে আর ফোনে কথা বলতে পারেননি।
রিফাত বলেন, আমরা আয়ানকে সিঁড়িতে পেয়েছি। তার মরদেহ বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ছোট বাচ্চা ধোঁয়ায় শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে হয়তো মারা গেছে। ভাবি আর আয়াতের মরদেহ মর্গে আছে। আমি ও অন্য আত্মীয়রা মরদেহ নিতে এসেছি।
আরও পড়ুন
- অগ্নিকাণ্ড থেকে বাঁচতে চাইলে
- যেখানে পাবেন আগুন নেভানোর যন্ত্র
- অগ্নিনিরাপত্তায় গ্রাহকদের আস্থার প্রতীক ‘সেফমেট’
- আগুন-ধোঁয়ায় সেকেন্ডেই বাজবে ফায়ার এলার্ম
এসময় আক্ষেপ করে রিফাত বলেন, ভাবিকে অনেক ভালোবাসতেন ভাইয়া। ১২ বছর সম্পর্কের পর দুইজন বিয়ে করেন। দুই সন্তান নিয়ে সুখের সংসার ছিল। সব শেষ হয়ে গেলো।
বেইলি রোডের কেএফসি ভবনের পাশে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের ভবনে আগুন লাগে রাত ৯টা ৫০ মিনিটে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের মোট ১২ ইউনিট। এতে এখন পর্যন্ত ৪৩ জন নিহতের তথ্য মিলেছে।
এনএস/কেএসআর