সরকারিভাবে বড় ইফতার পার্টি না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
আসন্ন রমজানে সরকারিভাবে বড় ধরনের ইফতার পার্টি আয়োজন না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে বেসরকারিভাবেও এ ধরনের ইফতার পার্টি আয়োজনকে নিরুৎসাহিত করার কথা বলেছেন তিনি।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার কথা জানান।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ বা ১৩ মার্চ থেকে মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস রমজান শুরু হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে নির্দেশনা আছে, রমজান মাসে সরকারিভাবে বড় ধরনের ইফতার পার্টি নামক কোনো বিষয় উদযাপন করা যাবে না। তিনি এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করেছেন।
আরও পড়ুন>>
রমজানে সরকারি অফিস ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা
নীতির শক্তিতেই মানবতার রাজনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক মুক্তি
মজুতকারীদের গণধোলাই দেওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বেসরকারিভাবে ইফতার পার্টি না করতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কারও যদি এ ধরনের অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা থাকে তাহলে যেন সেই অর্থে খাদ্য কিনে গরিব মানুষদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বড় পরিসরে ইফতার পার্টি না করার নির্দেশনা কেন দিয়েছেন- জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ইফতার পার্টি করারইবা কারণ কী, এটি কি বলতে পারেন?
এরপর সাংবাদিকরা মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে জানান, এর আগে করা হয়েছে, অনেকে ধর্মীয়ভাবেও এটি পালন করেন। তখন মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটি কখনোই ধর্মীয় ইস্যু নয়, আমরা তো পার্টি করছি।
মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের আরও বলেন, আপনাদের বুঝতে হবে আমরা যেন অপচয় না করি। আমরা যেন লোক দেখানো কার্যক্রমে নিজেদের নিয়োজিত না করি। তার বদলে ওই টাকাটা যদি আপনি কারও কল্যাণে ব্যবহার করতে চান, গরিব মানুষ যাদের টার্গেট করলেন তাদের আপনি বিলিয়ে দিতে পারেন। আমি-আপনি বসে খেলাম, ওখানে অনেক খাদ্যের অপচয় হলো, অর্থের অপচয় হলো এটার তো ধর্মীয় দিক থেকেও যুক্তি থাকতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী এবার ইফতারের আয়োজন করবেন কি না, এ প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এটা তো আমি বলতে পারবো না।
আরও পড়ুন>>
রমজানে নিত্যপণ্যের মজুতদারি-চাঁদাবাজি ঠেকাবে পুলিশ-র্যাব
রমজানে কোনো পণ্যের সংকট হবে না: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি প্রকাশ
এদিকে, মন্ত্রিসভার বৈঠকে অন্য বছরগুলোর মতো এবারও রমজান মাসে সরকারি প্রতিষ্ঠানে অফিসের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের জানান, রমজানে দুপুর সোয়া ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত জোহরের নামাজের বিরতি থাকবে। সাপ্তাহিক ছুটি যথারীতি শুক্র ও শনিবার।
তবে ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ডাক, রেলওয়ে, হাসপাতাল ও রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা এবং অন্য জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এ সময়সূচির আওতার বাইরে থাকবে। এসব প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব আইন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে সময়সূচি নির্ধারণ ও অনুসরণ করবে।
এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট ও এর আওতাধীন সব কোর্টের সময়সূচি সুপ্রিম কোর্ট নির্ধারণ করবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
আরএমএম/এমকেআর/এমএস