এবার বিপিএম-পিপিএম পাচ্ছেন সর্বাধিক ৪০০ পুলিশ সদস্য
সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এবার সর্বাধিক সংখ্যক পুলিশ সদস্য বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) পাচ্ছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে ৪০০ জনের একটি তালিকা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হয়েছে।
২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ের কার্যক্রম অনুযায়ী পুলিশ সদস্যদের এ পদক প্রদান করা হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ৩৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’, ৬০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ৯৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ এবং ২১০ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা’ প্রদান করা হবে।
পুলিশ সদরদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিপিএম সাহসিকতা ও সেবা এবং পিপিএম সাহসিকতা ও সেবা- এই চারটি ক্যাটাগরিতে প্রতিবছর এই পুরস্কার দেওয়া হয়। প্রতিবছর পুলিশ সপ্তাহের বার্ষিক পুলিশ প্যারেডে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ পদক পরিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। যারা এ পদকে ভূষিত হন তাদের নামের শেষে বিপিএম-পিপিএম উপাধি যুক্ত হয়।
আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে শুরু হতে যাওয়া ‘পুলিশ সপ্তাহের’ প্রথম দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদকপ্রাপ্তদের পদক পরিয়ে দেবেন।
পদকপ্রাপ্তদের তালিকা দেখুন এখানে।
এদিকে ২০২২ সালে অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ১১৫ পুলিশ সদস্য বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) দেওয়া হয়। ২০২০ ও ২০২১ সালে দেওয়া হয় ২৩০ পুলিশ সদস্যকে।
২০২০ সালে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) এবং প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম) পান ১১৮ জন। ২০১৯ সালে ৩৪৯ জন পুলিশ সদস্যকে বিপিএম-পিপিএম পদক দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে যথাক্রমে ২০১৮ সালে ১৮২ জন, ২০১৭ সালে ১৩২ জন, ২০১৬ সালে ১২২ জন, ২০১৫ সালে ৮৬ জন কর্মকর্তা বিপিএম-পিপিএম পদক পেয়েছেন।
টিটি/এমএইচআর/জিকেএস