চুন্নুর প্রশ্ন

চবির ভর্তি ফরমের টাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফান্ডে কেন জমা হয় না

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:১৯ পিএম, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভর্তি ফরমের টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডে কেন জমা হয় না, এমন প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি এ প্রশ্ন তোলেন। এসময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারের সেশনে ভর্তি ফরম বিক্রির ২৩ কোটি টাকা ভিসি, প্রোভিসি, শিক্ষক ও ছাত্রলীগের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় ফান্ডে জমা হয় না। প্রতি বছর যদি এরকম হয়, তাহলে দেশটা কীভাবে চলছে? ভাবতেই পারি না। আমি শিক্ষামন্ত্রীকে বলবো, এটা যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে এটি একটি গুরুতর অপরাধ অন্যায়। এটি দেশের মানুষকে আপনি জানান। আমি আপনার কাছে জানতে চাই, এটা কী করে সম্ভব?

আরও পড়ুন>> অঙ্গীকার পূরণে এলাকার জন্য ২০ কোটি করে টাকা পাচ্ছেন এমপিরা

চুন্নু বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বছর (২০২৪) ভর্তি ফরম বিক্রি করে ২১ কোটি ৯১ লাখ টাকা আয় হয়েছে। সার্ভিস চার্জসহ মোট আয় ২৩ কোটি টাকা। গত বছর এ আয় ছিল ১৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা। ফরম বিক্রির এ টাকা উপাচার্য, উপ-উপাচার্যসহ শিক্ষকরা ভাগ বাটোয়ারা করে নেন। ছাত্রলীগও অতীতের মতো এ টাকা ২ শতাংশ ভাগ চেয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীন আখতারের দায়িত্ব ৪ বছর পূর্ণ হয়েছে, যে কোনো সময় উপাচার্য পদে পরিবর্তন আসতে পারে। ছাত্রলীগের ধারণা, উপাচার্য পরিবর্তন হলে ফরম বিক্রির টাকার ভাগ পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে যাবে। তাই তারাও টানা সংগ্রামে মনোযোগী হয়েছে।

তিনি বলেন, চবির এক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, উপাচার্য শিরীন আখতারের নানাবিধ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে নতুনভাবে তিনি আর দায়িত্ব পাচ্ছেন না এটা চূড়ান্ত। প্রশাসনও তাই ছাত্রলীগের সঙ্গে ভাগ০বাটোয়ারার কোনো আপসে যাচ্ছে না। উপাচার্য পদ নিশ্চিত না হলে উপাচার্য শিরীন আখতার আর টাকা দিতে নারাজ। প্রতিবছর ভর্তির টাকার ভাগ নেওয়ার জন্য ছাত্রলীগ এসময় ক্যাম্পাস উত্তপ্ত রাখে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়।

আরও পড়ুন>> চাঁদা একটা কালচারে পরিণত হয়েছে: আনিসুল ইসলাম

তিনি আরও বলেন, ভর্তি পরীক্ষার ২১ কোটি ৯১ লাখ টাকার ২ শতাংশ চায় ছাত্রলীগ। সে টাকা দাঁড়ায় ৪৩ লাখে। তারা বলছে আরও ৭ লাখ টাকা বাড়িয়ে তাদের ৫০ লাখ টাকা দিতে হবে। চবিতে ভর্তি পরীক্ষার টাকা কোনোদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডে যায় না। মারাত্মক কথা, এটা কোন দেশ?

আইএইচআর/এমএইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।