নৌ প্রতিমন্ত্রী
নদীতে ব্রিজ তৈরির ক্ষেত্রে পিলারের সংখ্যা কমাতে হবে
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নদীকে রক্ষা করার দায়িত্ব শুধু নৌপরিবহন বা পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নয়। নদীকে রক্ষা করার দায়িত্ব প্রতিটি মানুষের। বর্তমানে নদীর ওপর খাল, খালের ওপর কালভার্ট দিয়ে নদীকে সংকুচিত করা হয়েছে। এখন কালভার্টের নিচে নালাও নেই। তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। তাই নদীতে ব্রিজ তৈরির ক্ষেত্রে যাতে কম পিলার থাকে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুযারি) ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ‘ডিটারমিনেশন অব স্ট্যান্ডার্ড হাই ওয়াটার লেভেল, স্ট্যান্ডার্ড লো ওয়াটার লেভেল এবং রি-ক্লাশিফিকেশন অব ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর সর্বপ্রথম ২০১০ সালে নদ-নদীর ওপর পরিকল্পিতভাবে সেতু ও কালভার্ট নির্মাণের উদ্দেশ্যে একটি বিধিমালা জারি করা হয়। প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে ওই বিধিমালায় একটি সংযোজনীও যুক্ত করা হয়। এর আগে ৪০ বছরে এরকম বিধিমালা কেন হয়নি? আমরা পানির প্রবাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছি। দুই-তিন বছরে জলাবদ্ধতা হচ্ছে না; এটা ভালো দিক। যোগাযোগকে মাল্টিমোডাল করতে হবে। রেল, সড়ক ও নৌপথ যাতে থাকে সে ব্যবস্থা রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধু সেতুতে প্রথমে রেল সংযোগের বিষয় ছিল না। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঠিক নির্দেশনার আলোকে রেললাইন সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উচ্ছেদ অভিযান মানুষের চোখ খুলে দিয়েছে। মানুষ এখন নদী নিয়ে ভাবছে। মানুষ এখন নদীতে ময়লা ফেলার আগে ডান-বামে তাকায়। এটি সফলতা। আমাদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন হচ্ছে। মানুষ কাঠামোর উন্নয়নের দিকে ভাবতে হবে। দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতিটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এবং ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে। বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএ’র সদস্য প্রকৌশল মোহাম্মদ মনোয়ার উজ জামান।
আরএএস/জেএইচ