এসডিজি লক্ষ্যসমূহ জনপ্রতিনিধিদের জানাবে তথ্য মন্ত্রণালয়


প্রকাশিত: ০১:৩৫ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০১৬
ফাইল ছবি

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিসি) অর্জনে সংবিধান, প্রধানমন্ত্রীর উদ্ভাবনী পরিকল্পনা ও ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা সমন্বয়ের ওপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সাইবার অপরাধ, জঙ্গি-সন্ত্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা অপরিহার্য।

রোববার বিকেলে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ: তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্ম পরিকল্পনা প্রস্তুতি’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী আরো বলেন, ‘উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জনসম্পৃক্ততাকে গণমাধ্যম ও রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আনতে হবে’। এ অনুষ্ঠান থেকে জানানো হয়েছে, উপজেলা ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের কাছে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) তালিকা তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরবরাহ করা হবে।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মরতুজা আহমদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ও সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম বিশেষ অতিথি হিসেবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জনের সামগ্রিক পরিকল্পনা এবং সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা থেকে নতুন এ লক্ষ্যমাত্রায় উত্তরণের পটভূমি তুলে ধরেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলো হচ্ছে বিশ্ব এবং সমাজের নিরাপত্তা রক্ষার একটি সমন্বিত নীতিমালা। ২০৩০ সালের মধ্যে পরিবেশ রক্ষা, বৈষম্য দূর করা, নারী-পুরুষ সমতা ও দারিদ্র্য নির্মূলের জন্য এ লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে বাংলাদেশের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

টেকসই উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক দলগুলোকে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী সকল সরকারি কর্মচারীকে সংবিধানের সঙ্গে মিল রেখে কাজ করার মাধ্যমে সুশাসন নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। মন্ত্রী বলেন, গণতন্ত্র ও সুশাসন হচ্ছে উন্নয়নের পূর্বশর্ত।

তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দেশের অভাবনীয় সাফল্যের পর টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলো অর্জনের জন্য নতুন প্রেরণায় এগোবে দেশ।

জনপ্রতিনিধিদের এসডিজি তালিকা দেবে সরকার  
কর্মশালায় বক্তৃতাকালে সকল সংসদ সদস্য, উপজেলা ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের কাছে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) তালিকা তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে সরবরাহের পরামর্শ দেন তথ্যমন্ত্রী। পরে তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ সভাপতির বক্তৃতায় মন্ত্রীর এ পরামর্শ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন।

তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এস এম মাহবুবুল আলম, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা এ কে এম শামীম চৌধুরী, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ সিনেমা ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এস এম হারুন-অর-রশীদ, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. লিয়াকত আলী খান, বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক এ কে এম নেছার উদ্দিন ভূঁইয়া, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সরাফ উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার) শাহজাদী আঞ্জুমান আরা, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) রোকসানা মালেক এনডিসি, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহ আলমগীর, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন কুমার ঘোষ, ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার অণুবিভাগের মহাপরিচালক তারেক আহমেদসহ তথ্য মন্ত্রণালয়ের ও অধীনস্থ সংস্থাগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

এসএ/এনএফ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।