১৫-১৯ বছর বয়সী কিশোরীর মা হওয়ার হার সবচেয়ে বেশি
কিশোরীদের মধ্যে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সে মা হওয়ার অনুপাত সবচেয়ে বেশি। প্রতি ১ হাজার কিশোরীর বিপরীতে ৭০ জন মা হচ্ছেন প্রতি বছরে। মোট ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুর জন্মের ১৮ শতাংশ সংঘটিত হয় এ বয়সভিত্তিক গোষ্ঠীর নারীদের মধ্যে। ১৫ বছরের কম বয়সী কিশোরীদের মধ্যেও উল্লেখযোগ্য-সংখ্যক মা হন। এ বয়সী কিশোরীর মা হওয়ার হার প্রতি হাজারে শূন্য দশমিক ৬ জন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২২ (এসভিআরএস) এ চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। এটি সম্প্রতি ওয়াবসাইটে প্রকাশ করে সংস্থাটি।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, কিশোরী বয়স অতিক্রান্ত হওয়া বা ২০ বছর তদূর্ধ্ব নারীদের মধ্যে কিশোরীদের তুলনায় সন্তান প্রসবের হার বেশি। প্রতি ১ হাজার নারীর বিপরীতে এ শ্রেণির প্রজনন হার ৭০ দশমিক ৩ জন। সামগ্রিকভাবে একটু বেশি অবদান রয়েছে কিশোরী মায়েদের।
এসভিআরএস রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৮ সপ্তাহের গর্ভধারণের সময় বা তার পরে প্রসবের কোনো লক্ষণ ছাড়াই হঠাৎ শিশুর ভূমিষ্ঠ হওয়াকে মৃত অবস্থায় জন্ম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ২০২২ সালে জরিপে সামগ্রিক মৃত প্রজনন হার রেকর্ড করা হয়েছে প্রতি ১ হাজার জীবিত জন্মের বিপরীতে ৯ দশমিক ৫ জন। ২০২১ সালের তুলনায় এ হার বৃদ্ধি পেয়েছে।
মৃতজন্ম সবচেয়ে বেশি সংঘটিত হয়েছে রাজশাহী বিভাগে। এ বিভাগে প্রতি হাজার জীবিত জন্মের বিপরীতে মৃত অবস্থায় জন্ম ১৫ দশমিক ৮ জন।
এ ক্ষেত্রে পরের অবস্থানে আছে ময়মনসিংহ বিভাগ।
বিভাগটিতে প্রতি হাজারে মৃত জন্মের হার ১৩ দশমিক ৯। ঢাকা বিভাগে মৃত জন্মের হার সবচেয়ে কম; প্রতি হাজারে জীবিত জন্মে মাত্র ৬ দশমিক ৫টি মৃত শিশুর জন্ম হয়।
এমওএস/এমআইএইচএস/এএসএম