সাবেক এমপি নদভী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ইসির মামলা
সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনে পরাজিত প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ও তার স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা বিকল চাকমা বাদী হয়ে মামলা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জাগো নিউজকে বলেন, ‘সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা নেজামুদ্দিন নদভী ও তার স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন সংক্রান্ত মামলা আমলে নিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে।’
নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ১১ জানুয়ারি চট্টগ্রাম-১৫ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ-সচিব (আইন) মো. আব্দুছ সালামের সই করা এক চিঠিতে মামলা করার এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম-১৫ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন এবং স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর প্রচারণায় গিয়ে চুনতি মাদরাসার সিরাতুন্নাবী (সা.) মাহফিলে এক কোটি টাকা অনুদান দেন। পাশাপাশি এক সমর্থকের ছেলেকে চাকরির ঘোষণা এবং আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ প্রদানের ঘোষণা দেন।
এছাড়া আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী পুটিভিলা তাঁতীপাড়ায় এক সমাবেশে ২ লাখ টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন।
এমন অভিযোগে দুজনের বিরুদ্ধে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধির ১১(ক) বিধান লঙ্ঘন করা হয় মর্মে প্রতিবেদন জমা দেয় নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের করতে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয় ইসি।
গত ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী প্রায় ৪৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেবের কাছে।
আবু আজাদ/কেএসআর/জিকেএস