কেরানীগঞ্জে নবনির্মিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার উদ্বোধন


প্রকাশিত: ০৪:২৮ এএম, ১০ এপ্রিল ২০১৬

রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুরে নবনির্মিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার উদ্বোধন করা হয়েছে। রোববার সকাল ১০টায় কারাগারের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও কারা মহাপরিদর্শক (আইজি-প্রিজন) ব্রি. জে. সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন।
 
কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুরে প্রায় ১৯৪ একর জায়গার উপর নির্মিত হয়েছে এশিয়ার সর্বাধুনিক ও বৃহত্তম এই কারাগারটি। এর ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৫ হাজার। উদ্বোধনের পর জেলার ও আইজি-প্রিজন কারাগারের সুযোগ সুবিধা ও আধুনিকতা সম্পর্কে শেখ হাসিনাকে ব্রিফ করেন।
 
জমি অধিগ্রহণ, ভরাটসহ আধুনিক এই কারাগারটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪০৬ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে পুরুষ কারাগারের পাশে আলাদাভাবে একটি মহিলা কারাগার নির্মাণ করা হয়েছে।
 
২০১৫ সালের নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে কারাগারটি উদ্বোধন করার কথা থাকলেও ফিনিশিংয়ের কিছু কাজ বাকি থাকায় উদ্বোধনে বিলম্ব হয়। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে আইজি প্রিজন বলেন, কারাগারটির ৮৯ ভাগ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। কারাগারটিতে পুরুষ এবং মহিলা কয়েদিদের জন্য আলাদা ভবন রয়েছে। তবে নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় আপাতত নারী আসামিদের কাশিমপুরে পাঠানো হবে।
 
অত্যাধুনিক এই কারাগারে লাগেজ এবং পার্সোন স্ক্যানার রয়েছে। কেউ মোবাইল কিংবা মাদক নিয়ে ভেতরে ঢুকতে পারবে না বলে দাবি করেন আইজি-প্রিজন।

jail
 
এর আগে ১৯৮০ সালের দিকে কারাগারের আশপাশে বেশ কয়েকটি বড় বড় আবাসিক ভবন গড়ে উঠে। এতে কারাগারের নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা উভয়ই বিঘ্নিত হচ্ছে বলে উপলব্ধি করে তৎকালীন সরকার। সেবছরের ১৬ সেপ্টেম্বর আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কাউন্সিলের একটি সভায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সরানোর বিষয়টি প্রথম উঠে আসে। ১৯৯৪ সালে একে চূড়ান্তভাবে সরিয়ে দুটি কারাগার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর মধ্যে একটি গাজীপুরের কাশিমপুর ও অন্যটি কেরানীগঞ্জে।
 
অবশেষে ২০০৬ সালে একনেকে কেরানীগঞ্জে এই প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় জমি অধিগ্রহণের কাজ। বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয় ২০১১ সালের জুন মাস পর্যন্ত। কিন্তু পরে তিন দফায় প্রকল্প মেয়াদ বাড়িয়ে করা হয় ২০১৭ সাল পর্যন্ত।
 
এআর/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।