বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন ৬৮ বিজিপি সদস্য, আহত ১৫

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৩৩ এএম, ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষে প্রাণহানি এড়াতে দেশটির বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৬৮ জন সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছেন।

রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ১২টায় বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৬৮ জন সদস্য অস্ত্রসহ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন। বিজিবি তাদের নিরস্ত্রীকরণ করে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে। এরমধ্যে আহত ১৫ জন সদস্যের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।

এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, রোববার ভোর থেকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সদস্যরা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া শুরু করেন। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত এলাকা দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।

গত সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশ সীমান্তেও সংঘর্ষ ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। দুপক্ষের ছোড়া গুলি ও মর্টার শেল এসে পড়ছে বাংলাদেশের ভেতরে।

এদিকে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা কোনো যুদ্ধে জড়াতে চাই না। যুদ্ধ চাইও না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী আমাদের সব সময় সে নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। তবে আমরা সব সময় তৈরি আছি।

তিনি বলেন, আমরা মিয়ানমার সীমান্তে শক্তি বৃদ্ধি করেছি। আমরা পুলিশকে বলে দিয়েছি, কোস্টগার্ডকেও আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। যাতে কোনোভাবেই কেউ আমাদের সীমানায় অনুপ্রবেশ করতে না পারে। সে ব্যাপারে আমরা খুব সতর্ক রয়েছি। যুদ্ধ কতদিন চলে আমরা জানি না। কিন্তু সীমান্ত পার হয়ে কাউকে আসতে দেবো না। বিজিবিকে আমরা সেই নির্দেশনাটাই দিয়েছি।

আত্মরক্ষার্থে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী বাংলাদেশে ঢুকলে তাদের ধরে আবার ফেরত পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছেন আসাদুজ্জামান খান।

টিটি/এমএইচআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।