শক্ত পদক্ষেপ নেবো, সদরঘাট ফিটফাটই থাকবে: প্রতিমন্ত্রী
সদরঘাটে যাত্রী হয়রানির বিষয়ে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যেটা বলছি, সদরঘাট ফিটফাট, সেটাই থাকবে।’
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে শিপিং রিপোর্টার্স ফোরাম, বাংলাদেশ (এসআরএফবি)-এর কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বিলেন, ‘সদরঘাটে গিয়ে আমি কিন্তু দোকানপাট সব তুলে দিয়েছিলাম। লাস্ট কিছু দিন ধরে আমার কাছে তথ্য আসছে যে, হয়রানি আবার শুরু হয়ে গেছে, খারাপ পর্যায়ে। আমি বিনা রিপোর্ট যাবো। রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহে আর যাওয়া হয়নি। এ ধরনের কাজ যারা করেন তারা রাজনৈতিক কনফ্লিক্টের সুবিধা নেয় যে, এদিকে মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ নেই। এটার ব্যাপারে আমরা শক্ত পদক্ষেপ নেবো। আমরা যেটা বলছি, সদরঘাট ফিটফাট সেটাই থাকবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উপকূলীয় অঞ্চল, আমাদের তজুমুদ্দিন এলাকার মানুষ আটকে আছে ভোলায়। আমাদের হাতিয়া, এত বড় একটা জায়গা, ৫০ বছরে আমরা তাদের একটা যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে পারলাম না। সন্দ্বীপ, কুতুবদিয়া- এগুলোর মানুষ বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন। এগুলো নিয়ে আমাদের অনেক আগে ভাবার দরকার ছিল। এখন আমাদের যেহেতু প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। সন্দীপ, কুতুবদিয়া যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, তাতে যদি জেটিগুলো নির্মাণ হয় তাহলে জোয়ার-ভাটায় কাদার মধ্যে আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে পড়তে হবে না। আর হাতিয়ার ব্যাপারে আমরা বিশেষভাবে চিন্তা-ভাবনা করছি।’
ঢাকার চারপাশের নৌপথ তিনি বলেন, ‘আমাদের একটা পজিটিভ জায়গা আছে। সেটি প্রধানমন্ত্রীর কাছেও গেছে। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে নির্বাচনকালীন আমরা একটা সভা করেছি। ঢাকার চারপাশের নদীর পাড়ের সৌন্দর্যবর্ধন সংক্রান্ত যে প্রকল্প তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নেতৃত্বে কমিটি হচ্ছে। ঢাকার চার পাশের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী খুবই সিরিয়াস।’
নদী রক্ষায় সচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতি জেলা-উপজেলায় কমিটি আছে। নদী নিয়ে কী ভাবতেছেন তা নিয়ে সেমিনার করেন। মানুষ জানে না, শুনে না হঠাৎ করে হাতুড়ি-বাটাল নিয়ে ভাঙচুর শুরু করলাম, মানুষ হতভঙ্গ হয়ে যায়। নদী রক্ষা কমিটিকে সব জেলায় কমিটি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
তথ্য প্রাপ্তির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তথ্যের ব্যাপারে তো আমরা বলেছি। আর এখন তো এত জটিলতা হয় না। নেগেটিভ কাজ যারা করে তারা তথ্য দিতে চায় না। যারা পজিটিভ কাজ করে তারা তথ্য দেবেই। যারা তথ্য দিতে চায় না, এ নেগেটিভ লোকদের তালিকা করা দরকার। কেন দেবে না? একটা কাজ হচ্ছে কী পরিমাণ অগ্রগতি হলো, কত টাকা ছাড় হলো- এটা দিতে তো অসুবিধা নাই।’
এ সময় শিপিং রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি কাজী এমাদ উদ্দিন জেবেল ও সাধারণ সম্পাদক আফরিন জাহানসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরএমএম/এমএএইচ/জিকেএস