পশ্চিমারা বলেছে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে পশ্চিমারা। মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দেশি-বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য দাবি করছে, বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ বা সুষ্ঠু হয়নি। বিবৃতিতে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে একমত যে, এ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ না করায় আমরা হতাশ।
অপরদিকে বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) মুখপাত্র বলেছেন, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের নির্বাচনে বিশ্বাসযোগ্য ও সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার মান পূরণ হয়নি।
আরও পড়ুন: এবার বাংলাদেশের ভোট নিয়ে বিবৃতি দিলো যুক্তরাজ্য
এসব বিবৃতির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, না, তারা নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়েছে বলেছে।
মন্ত্রী বলেন, সব দেশই আমাদের ভালো বলেছে। বলেছে সুষ্ঠু, সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। এটা বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন ছিল। তারা বলেছে যে নির্বাচনের আগে কিছু সংঘাত হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হয়েছে। তবে কোনো কারিগরি ত্রুটি ছিল কি না; বিদেশি পর্যবেক্ষকরা তা দেখেছেন। আমি বাংলাদেশের বহু নির্বাচন দেখেছি। আমার মনে হয়, এবারের নির্বাচন আদর্শ নির্বাচন।
তিনি আরও বলেন, কারণ আমাদের সংস্কৃতিতে যে সংঘাত হয়, এবারের ১৭ কোটি নাগরিকের বাংলাদেশে এমন কিছু ঘটেনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যা বললো যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। এ বিষয়ে মত জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, তারাও ভালো বলেছে। নির্বাচনের প্রশংসা করেছে। তারা বলেছে আমাদের সঙ্গে তাদের যে সম্পর্ক আছে, সেটা বলবৎ রাখবে। তবে তারা মানবাধিকারের যে বিষয়টির কথা বলেছে, সেটা ডায়নামিক ইস্যু। এগুলোর কোনো শেষ নেই। আমরা এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছি।
কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ে স্বাগত বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি বলেন, নতুন বছরে আমরা খুবই সুন্দর একটি বাংলাদেশের প্রত্যাশা করছি। সব দেশগুলোর সঙ্গে ভালো সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব প্রত্যাশা করছি। এ প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে নিজস্ব লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। একটি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে পারবো। আশা করছি, অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ছাড়া আমরা এগুলো অর্জন করতে পারবো না।
ব্রিফিংয়ে অংশ নেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথেরিন কুক। এছাড়া বিভিন্ন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামালসহ বিশিষ্টজন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বরা।
অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
আইএইচআর/জেডএইচ/এমএস