বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বললেন ৪০ শতাংশ ব্যাপক ভোট

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২:২৪ পিএম, ০৮ জানুয়ারি ২০২৪

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ৪০ শতাংশ ভোট খুবই সন্তোষজনক। এটা ব্যাপক ভোট এই পরিস্থিতিতে। অনেক দেশে তো সাত শতাংশ ভোটও পড়ে না। আমরা মনে করি যে পরিস্থিতি হয়েছে ৪০ শতাংশ, ইজ বিগ টার্ন।

সোমবার (৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটার উপস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন ছিল ভোটার উপস্থিতি আপনারা সন্তোষজনক মনে করছেন কি? উত্তরে তিনি বলেন, ৪০ শতাংশ ভোট খুবই সন্তোষজনক। এটা ব্যাপক ভোট এই পরিস্থিতিতে। অনেক দেশে তো সাত শতাংশ ভোট পড়ে না। আমরা মনে করি যে পরিস্থিতি হয়েছে ৪০ শতাংশ ইজ বিগ টার্ন, আপনারা খবর নিয়ে দেখতে পারেন। আমার কাছে সকাল থেকে যে খবর এসেছে মোটামুটি সবাই সন্তুষ্ট। আমার এলাকায় ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে।

নির্বাচন পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি আমার এলাকার নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আমার এলাকায় বলতে পারবো স্বতঃস্ফূর্ত, আপনারা অনেকেই ছিলেন আমি দেখেছি। সকাল থেকে কীভাবে মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য উৎসুক ছিল এবং খুবই সুষ্ঠুভাবে, বলা যেতে পারে একটা-দুইটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদে খুবই সুষ্ঠুভাবে ভোটাভুটি হয়েছে। খুবই সুশৃঙ্খলভাবে, শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না।

তিনি বলেন, যারা পাশ করে আসছেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। যারা পাস করতে পারেন নাই তাদেরও একটা প্রচেষ্টা ছিল, তাদের অবদান ছিল।

নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমি মনে করি নির্বাচন কমিশন প্রচণ্ড চাপের মধ্যে ছিল। বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যু ছিল। তার আগে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ছিল। বৃহৎ একটি দল বিএনপি-জামায়াত জোট সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করছে। তাদের মধ্যে প্রচণ্ড চাপ ছিল যেটা আমরা লক্ষ্য করছি বিভিন্ন বক্তব্য আসছে।

নসরুল হামিদ বলেন, কিছুদিন আগের ট্রেনে আগুন দিয়ে চারজনকে হত্যা করা হয়েছে এ বিষয়গুলো কিন্তু খুব খারাপ ভাবে নিয়েছেন ভোটাররা, ওই দলের ব্যাপারে। এটার খুব বড় একটা রিঅ্যাকশন পড়ছে। এই যে ৪০ শতাংশ সারা দেশব্যাপী ভোট হয়েছে, এটা কিন্তু বড় একটা জিনিস। তাদের (ভোটার) মধ্যে রিয়েক্ট করছে যে এই দলটা প্রত্যেকবার নির্বাচন বর্জন করে এবং একটা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করে।

তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন কমিশন খুবই প্রোফেশনাল ওয়েতে পরিচালনা করেছে। তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই, মাঠ পর্যায়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে খুবই সুষ্ঠুভাবে, খুব কড়াকড়ি ভাবে তারা নির্বাচন পরিচালনা করেছেন। এটা ভালো দিক আমি মনে করি।

আপনার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা থেকে বলেন কেবিনেট কবে হচ্ছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে নসরুল হামিদ বলেন, আমার কাছে মনে হচ্ছে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হয়ে যাবে বলে আমি আশা করছি৷

নতুন সরকারের সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের শপথ কবে হতে পারে? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রশ্ন করা হলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি আমি বলতে পারবো না।

বিরোধী দল কে হবে, আপনার কাছে কি মনে হয়? সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, অবশ্যই সংবিধান অনুযায়ী যদি দেখা যায় তা হলে তো লাঙ্গল মার্কা হবে। বাকি স্বতন্ত্ররা থাকবেন। তাছাড়া পরিস্থিতিতে বোঝা যাবে সামনের রাজনীতি কোন দিকে যায়।

স্বতন্ত্র কি বিরোধী দল হিসেবে থাকবে? সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন পাল্টা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সে বিষয়ে তো এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। যতক্ষণ পর্যন্ত শপথ না হচ্ছে।

আগামীতে সরকারের জন্য কি কি চ্যালেঞ্জ থাকতে পারে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হলো গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি নিরবিচ্ছিন্ন রাখা। সব প্রবলেমকে মাথায় রেখে এটাকে (বিদ্যুৎ ও জ্বালানি) নিরবিচ্ছিন্ন রাখা। গ্রাহক পর্যায়ে একটি সহনীয় পর্যায়ে রাখা জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ, এটা হলো আগামী দিনের সব থেকে বড় চ্যানেল। আমি মনে করি আমাদের মন্ত্রণালয় এটার জন্য প্রস্তুত আছে।

তিনি বলেন, সামনে একটা বড় বিষয় হলো আমাদের দেশের ইকোনমির ধারাবাহিকতা রাখা, মূল্যস্ফিতিকে নিচের দিকে নেওয়া। এ বিষয়গুলো বড় একটা চ্যালেঞ্জ হবে। কারণ বিশ্বে আবার কি চেঞ্জ আসে, বিশেষ করে জ্বালানি ক্ষেত্রে বা রাজনৈতিক পরিস্থিতির ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলোকে মাথায় রেখে আমাদেরকে আগামীর প্ল্যান করা উচিত।

এমএএস/এসএনআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।