বার্ন ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত: ০৫:৩৪ এএম, ০৬ এপ্রিল ২০১৬

রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায়  ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার সকাল পৌনে ১১টায় ওই প্রতিষ্ঠানের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্য দিয়ে চিকিৎসা সেবায় আরো বেশি স্বনির্ভরতা অর্জন করবে বাংলাদেশ।

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা সামন্ত লাল সেন।
 
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ এ বার্ন ইনস্টিটিউটের নামকরণ হবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামেই। এর আগে এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
 
তিনি জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট ইনস্টিটিউটে রূপান্তর হবে। এর নাম হবে ‘শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট।’ তবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট আলাদাভাবেই থাকবে।
 
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কাছে চানখাঁরপুলে বক্ষব্যাধি হাসপাতাল সংলগ্ন জমিতে এ ইনস্টিটিউট নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে নির্মিতব্য এ বার্ন ইনস্টিটিউট হবে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বার্ন ইনস্টিটিউট। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের তত্ত্বাবধানে রাজধানী চানখাঁরপুলে গড়ে তোলা হবে পূর্ণাঙ্গ ভবনটি।
 
সূত্র জানায়, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় গত বছর ২৪ নভেম্বর ৫২২ কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
 
অত্যাধুনিক এ ইনস্টিটিউটটি নির্মাণে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার পর এখানে প্রতিদিন গড়ে ৫`শ দগ্ধ রোগী একসঙ্গে চিকিৎসা সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি ইনস্টিটিউট থেকে বছরে ১০-১২ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাবে দেশ। বর্তমানে সারাদেশের ১৮টি মেডিকেলের মধ্যে ৯টিতে বার্ন ইউনিটের সুবিধা রয়েছে। আর এসব ইউনিট পরিচালনার জন্য ১৫`শ চিকিৎসকের বিপরীতে বিশেষজ্ঞ আছেন মাত্র ৫৬ জন।

জেইউ/জেএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।