বেনাপোল এক্সপ্রেসের ‘চ’ ও ‘ছ’ বগি পুড়ে ছাই
শুক্রবার রাত ৯টার পর রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে দগ্ধ হয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। আহতরা শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দুবৃত্তের দেওয়া আগুনে বেনাপোল এক্সপ্রেসে চ ও ছ বগি শতভাগ ভষ্মিভূত হয়েছে। আগুনে ঝলছে গেছে চেয়ার, ফ্যান, জানালা-দরজাসহ বগিতে থাকা সব কিছুই। ট্রেনটির পাওয়ারকারও পুড়েছে আগুনে। তবে পাওয়ার বগির পেছনের অংশটি কিছুটা অক্ষত রয়েছে।
আরও পড়ুন>বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন/ নাশকতা কি না খতিয়ে দেখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
শনিবার (৬ জানুয়ারি) কমলাপুর স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, বেনাপোল এক্সপ্রেস রাতেই ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে আনা হয়। রাখা হয় ১৬ নম্বর বিটে। ট্রেনটির চ ও ছ নম্বর বগি পুড়ে গেছে। চেয়ার, ফ্যানগুলো জটলা বেধে পড়ে আছে বগির ভেতরেই। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে আগুন নেভানোর কাজে ব্যবহৃত জারগুলো। জানালার হাত বের করে পুড়ে যাওয়া ব্যক্তির রক্তের দাগও রয়ে গেছে। এখনও পোড়া গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে বগিটি থেকে।
তবে চ ও ছ বগির সঙ্গে রয়েছে পাওয়ার কার বা ঙ বগি। পাওয়ার কারের পেছনে কয়েকটি আসন রয়েছে। স্টেশনের এক কর্মকর্তা জানান, পাওয়ারকার পর্যন্ত আগুন আসতে আসতেই ফায়ার সার্ভিসের কারণে বাকিটা আর পুড়তে পারেনি। তবে সামগ্রিক বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি উপস্থিত রেলওয়ে কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন> ট্রেন চললেও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা যাত্রীদের
এদিকে, এ ঘটনায় রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপকের ফেসবুক পেজে এক পোস্টে জানানো হয়, ‘জানানো যাচ্ছে যে, অনিবার্য কারণবশত ৬-৭ জানুয়ারি বেনাপোল এক্সপ্রেস ও ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। এছাড়া মহানন্দা (আপ/ডাউন), রকেট (আপ/ডাউন), পদ্মরাগ (২১/২২), রংপুর শাটল (৯৭/৯৮), ঢাকা কমিউটার (৯৯), রাজশাহী কমিউটার (৫/৬) এবং বগুড়া কমিউটার (৫/৬) ট্রেন চলাচল আগামী ৬ ও ৭ জানুয়ারি পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। এছাড়া চিলমারী কমিউটার এবং লোকাল (৪৬২/৪৫৫/৪৫৬/৪৬১) ৬ জানুয়ারি (আংশিক) ও ৭ জানুয়ারি পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।' পোস্টে ট্রেনগুলো চলাচল বন্ধের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানানো হয়নি।
ইএআর/এসএনআর/এমএস