‘দেশে পর্যটন শিল্পের বহুবিধ সম্ভাবনা রয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:২০ পিএম, ০৩ জানুয়ারি ২০২৪

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম পর্যটন গন্তব্য। এখানে পর্যটন শিল্পের বহুবিধ সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বের বৃহত্তম একক ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন, দীর্ঘতম বালুকাময় সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, ক্ষুদ্র নৃতাত্বিক গোষ্ঠীর বৈচিত্রময় জীবনধারা, বছরব্যাপী চলমান ঐতিহ্যবাহী উৎসব, প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন, মুখোরোচক খাবার এবং অকৃত্রিম আতিথেয়তা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ট্যুরিস্টদের বাংলাদেশে ভ্রমণকে উৎসাহিত করে।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে বাংলাদেশে এমআইসিই ট্যুরিজমের সম্ভাবনা শীর্ষক একটি সেমিনারে এ অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা।

বাংলাদেশে এমআইসিই ট্যুরিজম তথা মিটিং ইনসেন্টিভ কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশনের সম্ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে প্রথমবারের মতো একটি সেমিনার আয়োজন করে। এমআইসিই ট্যুরিজম পর্যটন শিল্পের এমন একটি ধরন যেখানে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার অপার সুযোগ রয়েছে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন। তিনি তার বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশে পর্যটন বিকাশে এমআইসিই ট্যুরিজমের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এমআইসিই ট্যুরিজম পর্যটন শিল্পের এমন একটি ধরণ যেখানে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার অপার সুযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, পর্যটন শিল্প বিশ্বের সর্বাপেক্ষা বৃহৎ অন্তর্ভূক্তিমুলক শ্রমঘন শিল্প যেখানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িতে রয়েছে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। বিশ্বের মোট কর্মসংস্থানের ১০ শতাংশ আসে পর্যটন থেকে এবং বাংলাদেশে ১৫ মিলিয়নের অধিক জনগোষ্ঠী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পর্যটনের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে। পর্যটন শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ধরণগুলোর মধ্যে এমআইসিই ট্যুরিজম অর্থ্যাৎ মিটিং ইনসেন্টিভ কনফারেন্স অ্যান্ড এক্সিবিশন সংক্রান্ত পর্যটন এ খাতে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে যা সামগ্রিক কর্মসংস্থানে ইতিবাচক প্রভাব রাখছে। মাইস ট্যুরিজমের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে ইভেন্ট পরিকল্পনা, ভেন্যু ম্যানেজমেন্ট, ক্যাটারিং ম্যানেজমেন্ট, লজিস্টিকস, কানেক্টিভিটি, কারিগরি সাপোর্টসহ বিভিন্ন দক্ষতা ও পেশার গুরুত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। তিনি সেমিনারে মূল প্রবন্ধকা উপস্থাপন করেন। মূল প্রবন্ধকার জাবেদ আহমেদ বাংলাদেশে এমআইসিই ট্যুরিজমের বর্তমান অবস্থান, পর্যটন বিকাশে এমআইসিই ট্যুরিজমের গুরুত্ব ও করণীয় এবং সর্বশেষে এমআইসিই ট্যুরিজমের প্রসারে কতগুলো সুপারিশ প্রদান করেন।

তিনি জানান, গত কয়েক দশক ধরে এমআইসিই শিল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার বিভাগ এবং জাতীয় অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদানকারী হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে। এটি শুধুমাত্র আয় বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অর্থনীতিকে উৎসাহিত করে না, বরং আবাসন, খাদ্য ও পানীয়, কনভেনশন পরিষেবা, পরিবহন, পর্যটন এবং বিনোদনের মতো সংশ্লিষ্ট আতিথেয়তা পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বিশাল কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে। এমআইসিই ট্যুরিজমের পর্যটন অর্থনীতিতে অন্যান্য অনেক সুবিধা প্রদান করে।

এমএমএ/এমআইএইচএস/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।