গুজব আসবে, আমাদের কাছে তথ্য আছে: জননিরাপত্তা সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৩৯ পিএম, ০২ জানুয়ারি ২০২৪

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গুজব আসবে, এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান। ভোটের মাঠে কাজ করবেন এমন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রতি তার পরামর্শ, যাই ঘটুক, ক্রস চেক করে অ্যাকশনে যেতে হবে।

মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁও বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নির্বাচনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। ইসি সচিব জাহাংগীর আলম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

তিনি বলেন, গুজব আসবে। আমরা অনুমান করছি। আমাদের কাছে সে রকম তথ্যও আছে। গুজব দুই ধরনের। একটি হলো ইনস্ট্যান্ট কিছু ফোন আসবে। আপনাকে বলবে, অমুক জায়গায় পাঁচজন মার্ডার হয়েছে। অমুককে আটকে রেখেছে, আপনি মুভ করেন। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসককে আমরা এ মেসেজটা দেবো যে সিঙ্গেল চ্যানেলে যেন আপনার সঙ্গে যোগাযোগ হয়। বাইরের একটা গুজবের খবর এলে আপনি ক্রস চেক না করে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে যাবেন না।

আরও পড়ুন>> ভোটের দিনও চলবে গণপরিবহন, বন্ধ থাকবে মোটরসাইকেল 

তিনি বলেন, প্রত্যেক জেলায় কোর কমিটি আছে। উপজেলার সব বাহিনী নিয়ে সেন্ট্রাল সমন্বয় সেল আছে। জেলা পর্যায়ে আমরা রিকোয়েস্ট করেছি এরকম একটা করতে। যাই ঘটুক, তাদের কাছে মেসেজ থাকবে। আপনি ক্রস চেক করে অ্যাকশনে যাবেন।

তিনি আরও বলেন, সাইবারভিত্তিক কিছু গুজব আসবে। এটা প্রত্যেকটা ডিসি জানেন, একটা গুজব আসলে কোথায় জানাতে হবে। লিংকটা কার কাছে পাঠাতে হবে। এটা আমরা তাদের ওয়েল সার্কুলেটেড করেছি। আপনি জাস্ট কন্ট্রোল রুম বা কোথাও একটা পাঠাবেন। যদি না পারেন আমাদের যে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় সেল আছে, সেখানে ৬টা নম্বর আছে, সেই নম্বরে দেবেন। তাও যদি না পারেন, পিআইডির একটা সেল আছে, এনটিএমসির একটা সেল আছে। এরা সার্বক্ষণিক কাজ করছে। ১০ তারিখ পর্যন্ত ২৪/৭ থাকবে। আপনারা যদি সেগুলো জেলা প্রশাসককে পাঠান, তারা সেলগুলোতে পাঠাতে পারবেন। আমরা ব্যবস্থা নিতে পারবো।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের ভোটের মাঠে দায়িত্বপালন করার সময় দেশীয় গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বলার পরামর্শ দিয়ে এ সিনিয়র সচিব বলেন, মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার দরকার নেই আপনার। মিডিয়া আপনাকে কোনো কিছু জিজ্ঞেস করলে আপনি বলবেন, এটা রিটার্নিং অফিসারকে আমি রিপোর্ট দিয়েছি। এটা রিটার্নিং অফিসার বা অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার বা যিনি অথরাইজড, তিনি কথা বলবেন। কোনো স্টেটমেন্ট আপনি মিডিয়ায় দেবেন না।

দেশি মিডিয়া এড়িয়ে চলার কথা বললেও বিদেশি মিডিয়ার সঙ্গে প্রো-অ্যাক্টিভলি কথা বলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রচুর পর্যবেক্ষক আসছে, বিদেশি সাংবাদিক আসছেন। প্রত্যেককে ইসি থেকে আইডি কার্ড দেওয়া হচ্ছে। তাদের যখন দেখবেন, ওয়েলকাম করবেন। মনে রাখবেন তারা আমাদের দেশের মেহমান। তাদের আমরা দাওয়াত দিয়ে নিয়ে এসেছি। প্রো-অ্যাক্টিভলি তাদের সঙ্গে কথা বলবেন, ওয়েলকাম করবেন। যেখানেই দেখা হোক।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের আপনার পরিচয় দেবেন। ইংরেজিতে একটা কথা আছে প্যাসিভ এগ্রেসিভনেস, আমি কারও সাথে খারাপ ব্যবহার করলাম না। কিন্তু বডি ল্যাংগুয়েজে এমনভাবে কথা বললাম, আমি তাকে খুব ইগনোর করলাম ও অপমানিত হলো সে। এটি যাতে না হয়। বিদেশি সাংবাদিক, পর্যবেক্ষক এদের সঙ্গে খুব সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে।

তরুণ অফিসারদের মধ্যে ফেসবুক টেন্ডেন্সি থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি অনেক ছবি দেখেছি। এ ছবিগুলো দেওয়াটা শোভন নয়। এ বিষয়গুলো এভয়েড করা। ফোনে কথা বলার সময় সাবধান থাকতে হবে। দু-একটা শব্দ চয়নের মাধ্যমে অনেক ধরনের বিপত্তি ঘটতে পারে।

এসএম/এমএইচআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।