‘বিপজ্জনক’ জ্বালানি প্ল্যান্ট অনুমোদন নিয়ে বিপিসিতে তোলপাড়

ইকবাল হোসেন
ইকবাল হোসেন ইকবাল হোসেন , নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৮:৩৩ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩
প্লাস্টিক থেকে জ্বালানি উৎপাদন করছেন এক তরুণ, ফাইল ছবি

# কমিটির সুপারিশে একবার বাতিল, একমাস পর ফের অনুমোদন
# দুই চিঠিরই স্বাক্ষরকারী বিপিসির মহাব্যবস্থাপককে অব্যাহতি

প্লাস্টিক থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদন করতে চায় গ্লোব ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে গাজীপুরে প্ল্যান্টও করেছে তারা। যে কোনো উৎপাদিত জ্বালানি তেল বাজারজাতকরণে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অনুমোদন নিতে হয়। গ্লোব ওয়েস্টের এমন একটি আবেদন প্রথমে বাতিল ও পরে আবার অনুমোদন নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়।

জানা যায়, গ্লোব ওয়েস্টের আবেদন পর্যালোচনায় পাঁচ সদস্যের কমিটি করে বিপিসি। কমিটি প্ল্যান্টটির উৎপাদিত জ্বালানি মানসম্মত নয়, উৎপাদন প্রক্রিয়া বিজ্ঞানসম্মত নয় এবং যে কোনো সময় জনদুর্ঘটনা ঘটতে পারে- এমন পর্যালোচনা ও সুপারিশ করে। এরপরও একমাসের ব্যবধানে প্ল্যান্টটির আবেদন প্রথমে বাতিল ও পরে অনুমোদন দেওয়া হয়। বাতিল ও অনুমোদনকারী কর্মকর্তা, বিপিসির মহাব্যবস্থাপককে (বিপণন) এরই মধ্যে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ঘটনা তদন্তে করা হয়েছে তিন সদস্যের কমিটি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পীযুষ দত্ত নামের এক শিক্ষার্থী পাইরোলাইসিস পদ্ধতিতে প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদনের একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। তার উদ্ভাবিত প্রযুক্তিটি কিনে নেয় গ্লোব ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি গাজীপুরে একটি প্ল্যান্ট স্থাপন করে

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পীযুষ দত্ত নামে এক শিক্ষার্থী পাইরোলাইসিস পদ্ধতিতে প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদনের একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন। তার উদ্ভাবিত প্রযুক্তিটি কিনে নেয় গ্লোব ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি গাজীপুরে একটি প্ল্যান্ট স্থাপন করে। পরে প্ল্যান্টে উৎপাদিত জ্বালানি বাজারজাতকরণের অনুমতি চেয়ে ১ মার্চ বিপিসিতে আবেদন করে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানটির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিপিসি ২৩ মার্চ ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটিতে ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) রায়হান আহমেদকে আহ্বায়ক, মেঘনা পেট্রোলিয়ামের মহাব্যবস্থাপক (মার্কেটিং/অপারেশন) মফিজুর রহমান, পদ্মা অয়েল কোম্পানির উপ-মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয়) রোমান চৌধুরী, যমুনা অয়েল কোম্পানির উপ-মহাব্যবস্থাপক (বিক্রয়) সবুর খানকে সদস্য এবং বিপিসির উপ-মহাব্যবস্থাপক (বণ্টন ও বিপণন) মুহাম্মদ মোরশেদ হোসাইন আজাদকে সদস্য সচিব করা হয়।

আরও পড়ুন>> কাজে লাগবে না, তবুও ‘জ্ঞান নিতে’ বিদেশ যাচ্ছেন কর্মকর্তারা

প্ল্যান্টে কোন ধরনের যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে, এক্ষেত্রে সরকারের যথাযথ অনুমোদন রয়েছে কি না, এ প্ল্যান্টে উৎপাদিত পণ্য বিএসটিআই মানমাত্রার মধ্যে রয়েছে কি না, প্রতি মাসে কী পরিমাণ জ্বালানি তেল উৎপাদন করা সম্ভব হবে, এ প্ল্যান্টের উৎপাদনক্ষমতা কত ইত্যাদি পর্যালোচনা এবং প্ল্যান্ট থেকে পণ্যের নমুনা ইআরএলে পরীক্ষা করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দিতে বলা হয় কমিটিকে।

‘বিপজ্জনক’ জ্বালানি প্ল্যান্ট অনুমোদন নিয়ে বিপিসিতে তোলপাড়

গত ৯ অক্টোবর গ্লোব ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্ল্যান্টটি এ পর্যায়ে অনুমোদন দেওয়া যাবে না, প্ল্যান্টে উৎপাদিত পণ্যে বিএসটিআই নির্দেশিত মাত্রায় জ্বালানির উপাদান পাওয়া যায়নি, এতে যে কোনো সময় বড় ধরনের জনদুর্ঘটনা ও পরিবেশ বিপর্যয় ঘটতে পারে এবং এরূপ মানহীন পণ্য পরিবহনের যন্ত্রাংশের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে কমিটি বিপিসির চেয়ারম্যানকে প্রতিবেদন দেয়। প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি সুপারিশও করা হয়।

কমিটির সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্লোব ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্ল্যান্টটি সঠিক পদ্ধতিতে স্থাপন করা হয়নি বিধায় মানসম্মত তেল উৎপাদনের জন্য প্ল্যান্টটিতে মডিফিকেশন প্রয়োজন। এজন্য প্ল্যান্টটিকে কীভাবে মডিফিকেশন করতে হবে তার একটি প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। মডিফিকেশন না করা পর্যন্ত প্ল্যান্টটিতে উৎপাদন বন্ধ করার পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এজন্য প্ল্যান্টটি বন্ধ এবং যাতে অনুমোদন ছাড়া প্ল্যান্টটি চালু করা না হয়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে গাজীপুরের জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

পাশাপাশি প্লাস্টিক থেকে জ্বালানি উৎপাদন প্রক্রিয়াকে উদ্বুদ্ধ করতে উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের একটি নীতিমালা প্রণয়নের জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগকে চিঠি দেওয়ার সুপারিশ করে কমিটি।

আরও পড়ুন>> বেতনের চেয়ে ঋণের কিস্তি বেশি আবদুস সালাম মীরের!

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কমিটি সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা গ্লোব ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের গাজীপুরের প্ল্যান্টটি পরিদর্শন করেছি। প্ল্যান্টটিতে আমরা কয়েক ঘণ্টা ছিলাম। এর মধ্যে আমাদের দম বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম হচ্ছিল। যেভাবে প্লাস্টিক প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে, তাতে একটি জ্বালানির পরিবর্তে ক্যানসার তৈরির কারখানা করা হয়েছে। বর্তমান অবস্থায় এটি একটি মানুষ মারার প্ল্যান্ট। তাছাড়া ওই প্ল্যান্ট থেকে স্যাম্পল এনে আমরা ইআরএলে পরীক্ষা করিয়েছি। তাতে জ্বালানির কোনো উপকরণ নেই। যে উপকরণ পাওয়া গেছে, তাকে জ্বালানি বলা যাবে না।’

এদিকে ওই কমিটির প্রতিবেদনের পর গত ১৮ অক্টোবর বিপিসির পরিচালক (বিপণন) অনুপম বড়ুয়া গাজীপুর জেলা প্রশাসককে জনদুর্ঘটনা ও পরিবেশ বিপর্যয়রোধে গ্লোব ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের সামগ্রিক কার্যক্রম বন্ধ করে বিপিসিকে অবহিত করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয়।

প্ল্যান্টটিতে আমরা কয়েক ঘণ্টা ছিলাম। এর মধ্যে আমাদের দম বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম হচ্ছিল। যেভাবে প্লাস্টিক প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে, তাতে একটি জ্বালানির পরিবর্তে ক্যানসার তৈরির কারখানা করা হয়েছে। বর্তমান অবস্থায় এটি একটি মানুষ মারার প্ল্যান্ট

ওই চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্ল্যান্টে উৎপাদিত পণ্যকে বিএসটিআই স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী জ্বালানি তেল বলার সুযোগ নেই। এরূপ মানহীন পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ এবং পরিবহনের যন্ত্রাংশের জন্য ক্ষতিকর। প্ল্যান্টটি যে প্রক্রিয়া বা পদ্ধতিতে প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদন করছে তাও বিজ্ঞানসম্মত নয়। এতে যে কোনো সময় বড় ধরনের জনদুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। জাতীয় স্বার্থে এরূপ ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা বন্ধ করা প্রয়োজন।

পরদিন ১৯ অক্টোবর গ্লোব ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্ল্যান্ট পরিদর্শন প্রতিবেদনের সুপারিশ উল্লেখ করে প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদন ও বিপণন বিষয়ক একটি নীতিমালা প্রণয়ন করার অনুরোধ জানিয়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে চিঠি দেন বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ।

আরও পড়ুন>> অর্থপাচার হয়, বিপিসি কি নাকে তেল দিয়ে ঘুমায়

একই দিন কমিটির সুপারিশের আলোকে বিপিসি চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় ওই প্ল্যান্টের উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রম বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়ে প্ল্যান্টটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিনাত জেরিন আলতাফকে চিঠি (পত্র সূত্র- ২৮.০৩.০০০০.০৬৬.০৬.৩৮২.২২-৪৬৮) দেন বিপিসির মহাব্যবস্থাপক (বণ্টন ও বিপণন) মো. আবুল কালাম আজাদ।

পরবর্তীসময়ে গত ২৩ নভেম্বর প্ল্যান্টটির অনুমোদন দিয়ে আরেকটি চিঠি (পত্র সূত্র- ২৮.০৩.০০০০.০৬৬.০৬.৩৮২.২২-৪৮৭) দেন বিপিসির মহাব্যবস্থাপক (বণ্টন ও বিপণন) মো. আবুল কালাম আজাদ। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, কমিটির প্রতিবেদনের বর্ণিত সুপারিশ অনুযায়ী গবেষণা প্ল্যান্ট হিসেবে উৎপাদন ও বিপণন কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়া হলো।

দ্বিতীয় চিঠিটি আলোচনায় আসার পর তোলপাড় শুরু হয় বিপিসিতে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিপিসির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বাইরের একটি দালালচক্র ১০ লাখ টাকায় অনুমোদনের চিঠি দেওয়ার কাজটি করেছে বলে জানতে পেরেছি। চিঠিতে মহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদের স্বাক্ষর থাকলেও তিনি কম্পিউটারের কাজ নিজে জানেন না। এখন প্রশ্ন হলো, বিপিসির অনুকরণে একই ফরম্যাটে চিঠিটি কারা ড্রাফট এবং টাইপ করেছে।’

এ ব্যাপারে প্ল্যান্ট পরিদর্শন কমিটির আহ্বায়ক, ইআরএলের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) রায়হান আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা গ্লোব ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্ল্যান্টটি অনুমোদন না দিয়ে উৎপাদন বন্ধ করার সুপারিশ করেছিলাম। কমিটির পাঁচ সদস্যই সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করেছেন। ওই প্ল্যান্টের উৎপাদিত পণ্যে জ্বালানির উপাদান পাওয়া যায়নি। এটি বর্তমানে বিপজ্জনক একটি প্ল্যান্ট। এটি মডিফিকেশনের জন্য আমরা সুপারিশ করেছি।’

‘বিপজ্জনক’ জ্বালানি প্ল্যান্ট অনুমোদন নিয়ে বিপিসিতে তোলপাড়

এদিকে এ ঘটনায় গত সপ্তাহে বিপিসি চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম অফিস ভিজিট করে মহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদকে তলব করেন। সে সময় মহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ চিঠিটি দেননি দাবি করলেও ঘটনার বিষয়ে তেমন সদুত্তরও দিতে পারেননি।

পরবর্তীসময়ে ২৪ ডিসেম্বর মহাব্যবস্থাপক (বণ্টন ও বিপণন) মো. আবুল কালাম আজাদকে বিপণন বিভাগের দায়িত্বসহ সব প্রশাসনিক কাজ থেকে প্রত্যাহার করে নেয় বিপিসি। বিপিসির সচিব মুহম্মদ আশরাফ হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে মহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদকে বিপণন বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করে বিপিসি চেয়ারম্যানের দপ্তরে সংযুক্ত কর্মকর্তা হিসেবে পদায়ন করেন।

একই দিন ঘটনার বিষয়ে বিপিসির পরিচালককে (অর্থ) আহ্বায়ক, পরিচালককে (বিপণন)- সদস্য এবং বিপিসি সচিবকে সদস্য সচিব করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন হয়। বিপিসির দুই পরিচালক সরকারের যুগ্ম সচিব এবং বিপিসির সচিব সরকারের উপ-সচিব হিসেবে পদায়িত।

এ ব্যাপারে বিপিসির পরিচালক (বিপণন) অনুপম বড়ুয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘গ্লোব ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের প্ল্যান্ট বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটির রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে প্ল্যান্টটি বন্ধ করার জন্য গাজীপুর জেলা প্রশাসককে চিঠি দেওয়া হয়েছে। নীতিমালা করার জন্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। তবে প্ল্যান্টটি অনুমোদনের যে কথা বলা হচ্ছে, সে বিষয়ে আমার জানা নেই। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটিতে আমাকে সদস্য করা হয়েছে। আমরা কমিটির কাজ এখনো শুরু করিনি।’

সামগ্রিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিপিসির সচিব মুহম্মদ আশরাফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিপিসির যে কোনো বিষয়ে বক্তব্য দিতে পারেন শুধু চেয়ারম্যান স্যার। এখানে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ নেই।’

তবে মহাব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদকে অব্যাহতি এবং তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেন।

পরে এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিপিসি চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদের দাপ্তরিক নম্বরে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। খুদেবার্তা দেওয়া হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। পরবর্তীসময়ে বুধবার দুপুর ১২টা ৩ মিনিটে বিপিসি চেয়ারম্যানের ইমেইলে বক্তব্য চেয়ে মেইল করা হয়। তাতেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ইকবাল হোসেন/এমএইচআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।