‘ইশতেহারে পিছিয়েপড়া মানুষের দাবি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৩৬ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩

‘দলিত, ঋষি সম্প্রদায় বা পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে তাদের ক্ষমতায়ন ও অধিকার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক দাবিসমূহ রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে আনতে হবে। তাহলেই তা সবার জন্য মঙ্গলজনক হবে। পাশাপাশি পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর শিক্ষা সম্প্রসারণে কোটা প্রথা নিয়ে চিন্তা করা যেতে পারে।’

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে ইউএসএআইডি’র প্রোমোটিং অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রাইটস (পিএআর) কার্যক্রমের আওতায় ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সুযোগ: টেকসই উন্নয়নের জন্য নাগরিক অংশগ্রহণ শীর্ষক’ গোলটেবিল আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।

কাউন্টার পার্ট ইন্টারন্যাশনালের আয়োজনে অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) সাধারণ সম্পাদক শিরীন আক্তার, গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক বিশেষ দূত সাবের হোসেন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য আরমা দত্ত ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনায় রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহার ও অঙ্গীকারে অন্তর্ভুক্তির জন্য দলিত ও ঋষি জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে- দলিত ও ঋষি জনগোষ্ঠীর সামাজিক ক্ষমতায়ন ও তাদের সাংবিধানিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করা, বৈষম্য নিরোধ আইন কার্যকর করা, সংখ্যালঘু কমিশন ও সংসদীয় ককাস গঠন। এছাড়া ঋষি ও দলিত জনগোষ্ঠীর নিরবিচ্ছিন্ন শিক্ষা অব্যাহত রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং এই জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বাজেট বরাদ্দ, শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে কোটার ব্যবস্থা ও বিনিয়োগ তহবিল গঠন করা, জাতীয় সংসদে ও স্থানীয় সরকারে আসন সংরক্ষণের পাশাপাশি স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্ট্যান্ডিং কমিটিতে দলিত ও ঋষি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর ক্ষেত্রে উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

শিরিন আকতার বলেন, পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীকে সামনে আনা প্রয়োজন। তাদের শিক্ষা সম্প্রসারণে ভোকেশনাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। শিক্ষা ও কাজের সমন্বয় করা, সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে।

আরও পড়ুন>> ‘শান্তির জন্য পরিবর্তন’ স্লোগানে জাপার ইশতেহার ঘোষণা

তিনি বলেন, দেশে প্রচুর ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার হয়েছে। সেখানে পিছিয়েপড়া মানুষদের অন্তর্ভুক্ত করতে কোটা প্রথা নিয়ে চিন্তা করা যেতে পারে। সবাই যেন সেখানে অংশ নিতে পারে সেরকম একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।

এই রাজনীতিবিদ আরও বলেন, নির্বাচনের প্রতিশ্রুতিগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর সামাজিক-অর্থনৈতিক দাবিসমূহ যদি প্রতিশ্রুতির মধ্যে নিয়ে আসতে পারি তাহলে ভালো।

শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, সার্বিক পদক্ষেপের মাধ্যমে পিছিয়েপড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করতে হবে।

সাবের হোসেন বলেন, প্রতিটি সংসদ হচ্ছে সার্বভৌম। আমরা সবার জন্য কাজ করি। টেকসই উন্নয়নে প্রথম কথাই হচ্ছে সবাইকে নিয়ে উন্নয়ন, কাউকে পিছিয়ে রাখা যাবে না। আমরা কাউকে পিছিয়ে রাখতে চাই না। আপনারা যেসব পরামর্শ দিয়েছেন নীতিগতভাবে সেগুলোতে আমার সমর্থন আছে। একটা নতুন সংসদ আসছে। এ বিষয়গুলো নিয়ে শুধু আলোচনাই নয়, কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

এসএম/ইএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।