বাংলাদেশ বেতারের ৭৫ বছর


প্রকাশিত: ০৩:১৮ এএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৪

আজ ৭৫ বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ বেতার। হীরকজয়ন্তী উপলক্ষে চার দিনব্যাপী নানা বর্ণাঢ্য আয়োজন করা হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টায় শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশ বেতারের চারদিনের আয়োজন। এতে অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। শোভাযাত্রা শুরুর আগে বাংলাদেশ বেতারের শাহবাগ সমপ্রচার কেন্দ্রে অবস্থান করে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন তিনি। পাশাপাশি বাংলাদেশ বেতারের তাৎপর্য তুলে ধরেন মন্ত্রী।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বেতারের এমন একটি মুহূর্তে উপস্থিত হতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। ধীরে ধীরে এর অনেক উন্নয়ন হয়েছে। সেই সঙ্গে আমি আরও বলতে চাই, বাংলাদেশ বেতার কালক্রমে দেশের সঙ্কটময় মুহূর্তে যে সাহসী ভূমিকা রেখেছে তাতে আমি সাধুবাদ জানাই। তাৎপর্য বর্ণনার পাশাপাশি বাংলাদেশ বেতারকে ডিজিটাল করার কথাও বলেছেন মন্ত্রী।

আলোচনায় আরও অংশ নেন বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক কাজী আখতার উদ্দিন আহমেদ। আলোচনা পর্ব শেষে বেতারের সব কর্মকর্তা-কলাকুশলীসহ অনেকেই শোভাযাত্রায় অংশ নেন। সমপ্রচার কেন্দ্র থেকে শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় ঘুরে আবার একই স্থানে এসে শেষ হয়। উল্লেখ্য, ১৯৩৯ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ‘ঢাকা ধ্বনি বিস্তার কেন্দ্র’ নামে সম্প্রচারে আসে বেতার। পরে নামকরণ করা হয় অল ইন্ডিয়া রেডিও, ঢাকা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার নাজির উদ্দিনের ৬২ নম্বর বাড়িতে প্রথম যাত্রা শুরু করে। বর্তমানে শেখ বোরহান উদ্দীন কলেজ এটি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ বেতার নামেই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা পায়। দেখতে দেখতে মাস, বছর, যুগ পেরিয়ে বেতার পূর্ণ করল ৭৫ বছর। বাংলাদেশের অসংখ্য শিল্পীর সূতিকাগার এই বেতার। সরকারি টেলিভিশন এবং পরবর্তী সময়ে বেসরকারি টেলিভিশনের আবির্ভাব হলেও বেতারের জনপ্রিয়তা কমেনি। আজ দেশের আনাচে-কানাচে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ বেতার। কোটি কোটি মানুষের অন্যতম বিনোদন মাধ্যম এই বেতার।

হীরকজয়ন্তীর আজকের আয়োজন বাংলাদেশ বেতারের হীরকজয়ন্তীর দ্বিতীয় দিনে আজ নানা আয়োজনের মধ্যে বেলা আড়াইটায় বাংলাদেশ বেতার, ঢাকা কেন্দ্রের শিশুশিল্পীসহ বিভিন্ন শিল্পীদের সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হবে।

সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য নিয়ে খুলনার রূপান্তর থিয়েটার গ্রুপ পরিবেশন করবে পট গান। রাজশাহী কেন্দ্রের শিল্পীরা রাজশাহীর ঐতিহ্য নিয়ে পরিবেশন করবেন গম্ভীরা, টমটমের গান। সিলেট কেন্দ্র পরিবেশন করবে হজরত শাহজালাল (র.), হাছন রাজা ও শাহ আবদুল করিমের গান, সিলেটের আঞ্চলিক গান, মণিপুরী নৃত্য, রংপুর কেন্দ্রের পরিবেশনায় থাকবে ভাওয়াইয়া গান ও বিয়ের গীত, ঠাকুরগাঁও কেন্দ্র পরিবেশন করবে ধামের গান।

রাঙ্গামাটি কেন্দ্র পরিবেশন করবে চাকমা জুম নাচ, ত্রিপুরা বোতল নাচ, লুসাই ব্যাম্বু নাচ। এছাড়াও পরিবেশন করা হবে রবীন্দ্রসংগীত, লালনগীতি, কবিতা আবৃত্তি, সেলিব্রেটিদের আড্ডা ও শাস্ত্রীয় যন্ত্রসংগীত।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।