রাজনীতি মানুষকে বাঁচাতে, মারতে নয়: মানবাধিকার কমিশন
ট্রেনে আগুন দেওয়ার নৃশংস ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, যারা এ নৃশংস কাজটি করলো, কেন করলো, এটা আমাদের মনে বড় প্রশ্ন। এ ধরনের কাজ কোনো রাজনীতি নয়। রাজনীতি মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য, মানুষকে মারার জন্য নয়। দেশের সম্পদ নষ্ট করার জন্য নয়।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে রাজধানীর তেজগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকাগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায় ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি প্রতিনিধিদল। সেখানেই তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, এ ধরনের উদ্দেশ্যমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করতে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সহিংস ঘটনায় দ্রুত নাশকতাকারীদের শনাক্ত এবং বিচারের আওতায় আনতে হবে। নিরাপরাধ জনগণকে হত্যা করে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি করে এমন জনবিরোধী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করতে হবে।
অন্য এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, যারা এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেন বা এ ধরনের রাজনীতির পেছনে আছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি বলেন, পুলিশসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সতর্ক থাকতে হবে, নজরদারি বাড়াতে হবে। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড থেকে জনগণকে রক্ষা করতে হবে। আমাদের সবাইকে জনমনে আস্থা ফেরাতে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে রাজনীতি মানে মানুষের ক্ষতি করা নয়, বরং মানুষের কল্যাণে কাজ করা।
তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। কেউ যদি অন্তর্ঘাতমূলক বা নাশকতামূলক কাজ করতে চায় তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে এবং আমাদের জনগণকে নৃশংস হত্যাকাণ্ড থেকে রক্ষা করতে হবে। সম্প্রতি ক্রমাগত রেল দুর্ঘটনার বিষয়টি জনমনে উদ্বেগ এবং আশঙ্কা সৃষ্টি করছে।
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, উদ্দেশ্যমূলকভাবে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটানো মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। নিরীহ মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা জঘন্য অপরাধ। মানবাধিকার কমিশন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং এসব ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানাচ্ছে।
এসএম/এমকেআর/এমএস