শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:১২ এএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার কিছু সময় পর প্রথমে রাষ্ট্রপতি পরে প্রধানমন্ত্রী শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

সকাল ৭টার কিছু সময় আগে প্রধানমন্ত্রী শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন। পরে আসেন রাষ্ট্রপতি।

পুষ্কস্তবক অর্পণের পর তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। স্মরণ করেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। এসময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার দেয় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল।

আরও পড়ুন>> শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ

পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবার ও আগতদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

সকাল ৭টা ২০ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রী শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন। এর আগেই বিদায় নেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর মন্ত্রিসভার সদস্যরা শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর স্মৃতিসৌধ সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন>> বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড: ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আশরাফ-মুঈনুদ্দীন এখন কোথায়?

১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে স্বাধীনতা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে এসে পাকিস্তান বাহিনী যখন বুঝতে শুরু করে যে তাদের পক্ষে যুদ্ধে জেতা সম্ভব নয়, তখন তারা নবগঠিত দেশকে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত দিক থেকে অঙ্কুরেই দুর্বল করে দিতে এক হত্যাযজ্ঞের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৪ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানি বাহিনী তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর ও আল শামস বাহিনীর সহায়তায় দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের তাদের বাসা থেকে তুলে এনে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে। পরিকল্পিত গণহত্যাটি বাংলাদেশের ইতিহাসে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নামে পরিচিত। বন্দি অবস্থায়ও বুদ্ধিজীবীদের বিভিন্ন বধ্যভূমিতে নিয়ে হত্যা করা হয়।

এই ঘটনার দুদিন পর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তাদের ক্ষত-বিক্ষত ও বিকৃত লাশ রায়েরবাজার এবং মিরপুর বধ্যভূমিতে পাওয়া যায়। অনেকের লাশ শনাক্তও করা যায়নি। পাওয়া যায়নি বহু মরদেহ। এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করে প্রতি বছর ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশে পালিত হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস।

আরএমএম/ইএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।