জনতা ব্যাংকের ঘটনায় ক্ষুব্ধ গভর্নর, ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ
জনতা ব্যাংক লিমিটেডের গাজীপুর কর্পোরেট শাখা থেকে ৬০ লাখ ৭৮ হাজার টাকা লুট হওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
একই সঙ্গে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
সোমবার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ব্যাংকার্স সভায় তিনি এই নির্দেশ দেন। বৈঠক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক এএফএম আসাদুজ্জামান জাগোনিউজকে বলেন, গভর্নর এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জড়িতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা গেছে, শনিবার রাত ১০টার পর কোন এক সময় ব্যাংকের টাকা লুটের ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ব্যাংকের ৩ নিরাপত্তা প্রহরীকে পুলিশ আটক করেছে। আটকরা হলেন, নূরুল ইসলাম (৫০), মহিউদ্দিন (৪৭) ও মজিবুর রহমান (৪৫)।
জয়দেবপুর থানা পুলিশ ও ব্যাংক কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, ব্যাংকের সামনে একটি দোকানে পুরাতন কাপড়ের ব্যবসা করতেন জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তি। পূর্ব পরিচয়ের সূত্রে ওই ব্যক্তি টয়লেটে যাওয়া ও পানি পান করার কথা বলে রাত ১০টার দিকে প্রহরী নূরুল ইসলামকে কৌশলে ম্যানেজ করে দরজা খুলে ব্যাংকের ভিতর প্রবেশ করেন। পরে সাথে আনা ফলমুল ও খাবারের সাথে নেশাযুক্ত কিছু মিশিয়ে খাইয়ে নুরুল ইসলামকে অচেতন করে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙ্গে ভেতরে থাকা ৬০ লাখ ৭৮ হাজার টাকা লুট করেন। পরে ব্যাংকের পিছন দিকে জানালার গ্রিল কেটে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
জয়দেবপুর থানা থেকে মাত্র অল্প দূরে বাজারের ব্যস্ততম স্থানে অবস্থিত একটি ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা লুটের ঘটনা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আতংকিত করে তুলেছে। ওই ভবনের মাত্র ১০-১২ গজ দূরে ন্যাশনাল ব্যাংকের একটি শাখা রয়েছে।
জানা গেছে, দুর্বৃত্তরা টাকা লুট করার আগে ব্যাংকের ভিতরে ইয়াবা সেবন, বিয়ার ও সিগারেট পান, ডালিমসহ বিভিন্ন ফল ও চকলেট খেয়েছে। ব্যাংকটি একটি কর্পোরেট শাখা হলেও এতে কোন সিসি ক্যামেরা ছিল না। ভবনের পশ্চিম পাশের জানালাগুলোও দুর্বল লোহার তৈরি।