সেভ দ্য রোড

সতর্কতা-সচেতনতা-প্রশিক্ষণের অভাবে বাড়ছে দুর্ঘটনা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০২ এএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩

চলতি বছর ৫ মাসে সড়কে ১৮ হাজার ৭৫৬ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২ হাজার ১৬৫ জন এবং আহত হয়েছেন ২০ হাজার ৫৯৫ জন। সেভ দ্য রোড এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এ তথ্য।

সংগঠনটি জানায়, জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ছোট-বড় ৫ হাজার ২৫৯টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪০২ জন এবং আহত হয়েছেন ৫ হাজার ২২৮ জন। ৪ হাজার ৮০টি ট্রাক দুর্ঘটনায় নিহত ৪১১ জন এবং আহত ৪ হাজার ৫২৮ জন। ৪ হাজার ৮৬০টি বাস দুর্ঘটনায় ৭৫০ জন নিহত হয়েছেন এবং ৫ হাজার ৩৭৯ জন আহত হন। এছাড়া অবৈধ বাহন যেমন, নসিমন-করিমন এবং অন্যান্য তিন চাকার বাহনে ছোট-বড় ৪ হাজার ৮১৬টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৫৯১ জন এবং আহত হয়েছেন ৫ হাজার ৪২৩ জন।

নির্ধারিত গতিসীমা না মেনে, বিশ্রাম না নিয়ে টানা ১২ থেকে ২০ ঘণ্টা গাড়ি চালানো। দায়িত্বে অবহেলা, চালকদের প্রশিক্ষণের অভাব, স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের দুর্নীতিসহ বিভিন্নভাবে সড়ক-মহাসড়কে ঘটছে এসব দুর্ঘটনা।

সেভ দ্য রোড-এর চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, জিয়াউর রহমান জিয়া ও আইয়ুব রানার তত্ত্বাবধানে গণমাধ্যম, প্রত্যক্ষদর্শী, সেভ দ্য রোড-এর স্বেচ্ছাসেবীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

সেভ দ্য রোড এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সড়কপথে দুর্ঘটনা না কমার জন্য রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে গণপরিবহন সেক্টরে কেবলমাত্র প্রশাসনিক অদক্ষতাই নয়, দায়ী দুর্নীতি-অনিয়ম এবং ক্ষমতার অপব্যবহার। পাশাপাশি যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে, তখন সেই সরকারের লেজুড়বৃত্তি করে দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া একশ্রেণির চাঁদাবাজ সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রিত পরিবহন ব্যবস্থার কারণে এ সংকট তৈরি হয়েছে।

সেভ দ্য রোড গত ১২ বছর ধরে ৭ দফা দাবি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। এই ৭ দফা হলো:

১. মিরেরসরাই ট্রাজেডিতে নিহতদের স্মরণে ১১ জুলাইকে ‘দুর্ঘটনামুক্ত পথ দিবস’ ঘোষণা করতে হবে।

২. ফুটপাত দখলমুক্ত করে যাত্রীদের চলাচলের সুবিধা করে দিতে হবে।

৩. সড়ক পথে ধর্ষণ-হয়রানি রোধে ফিটনেসবিহীন বাহন নিষিদ্ধ এবং কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ ও জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যতিত চালক-সহযোগী নিয়োগ ও হেলপার দ্বারা পরিবহন চালানো বন্ধে সংশ্লিষ্টদের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

৪. স্থল-নৌ-রেল ও আকাশ পথ দুর্ঘটনায় নিহতদের কমপক্ষে ১০ লাখ ও আহতদের ৩ লাখ টাকা ক্ষতি পূরণ সরকারিভাবে দিতে হবে।

৫. ‘ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স রুল’ বাস্তবায়নের পাশাপাশি সত্যিকারের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ‘ট্রান্সপোর্ট পুলিশ ব্যাটালিয়ন’ বাস্তবায়ন করতে হবে।

৬. পথ দুর্ঘটনার তদন্ত ও সাজা ত্বরান্বিতকরণের মধ্য দিয়ে সতর্ক করতে হবে এবং ট্রান্সপোর্ট পুলিশ ব্যাটালিয়ন গঠনের পূর্ব পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশ, নৌ পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা-সহমর্মিতা-সচেতনতার পাশাপাশি সব পথের চালক-শ্রমিক ও যাত্রীদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। পরিবহন চালকের লাইসেন্স থাকতে হবে।

৭. ইউলুপ বৃদ্ধি, পথসেতুসহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, যাতে ভাঙা সড়ক, সেতু আর কালভার্টের কারণে আর কোনো মানুষকে প্রাণ দিতে না হয়।

এসইউজে/এসএনআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।