আমরা কার কাছে বিচার চাইবো: ডিবি প্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:৫৪ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
ফাইল ছবি

যারা রাস্তায় নেমে বলছে পুলিশ মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে, আসলে তারাই মানবাধিকারের সব আর্টিকেল লঙ্ঘন করছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, যে পুলিশ জনগণের পুলিশ, যে পুলিশ জনগণের জানমাল রক্ষায় নিয়োজিত, তথাকথিত রাজনীতির নামে সেই পুলিশকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে, যেসব ছবি সবার কাছেই আছে। এমনকি পুলিশ হাসপাতালে ভাঙচুর করে অ্যাম্বুলেন্সগুলো পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা কি মানবাধিকার লঙ্ঘন নয়? আমরা কার কাছে বিচার চাইবো?

রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে ‘পুলিশ মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে’- বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিবিপ্রধান বলেন, আমরা তো আর রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানবাধিকারের কথা বলতে পারি না। যারা তথাকথিত মানববন্ধন করছে তারা অনেক কিছুই বলতে পারে, এটা ঠিক নয়। জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী প্রতিটি মানুষের বাঁচার অধিকার ও আত্মরক্ষার অধিকার সংরক্ষণ করা হয়েছে। আমি পুলিশ, কিন্তু আগে তো মানুষ। আমারও তো অধিকার আছে, আমার কি বাঁচার অধিকার নেই?

আরও পড়ুন>> রিহ্যাব সেন্টারে পাঠানো হয়েছে আদম তমিজীকে

তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ৩০ জনের বেশি পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। একটি দল বা গোষ্ঠী যারা এ কাজটি করছে তারাই জাতিসংঘের সব আর্টিকেল লঙ্ঘন করছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, বিএনপি ২৮ অক্টোবরের আগেও নানান কার্যক্রম চালিয়েছে। ২৮ অক্টোবরের পরে যখন ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালিয়েছিল, এসব কার্যক্রমের জন্য তারা যুবদল ছাত্রদলকে আট ভাগে ভাগ করেছে। তাদের সেসব নেতা পুলিশকে পিটিয়েছে, পুলিশের গাড়িতে হামলা করেছে।

তিনি বলেন, কোনো সভ্য জাতি এমন কাজ করতে পারে না। তারা হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। শুধু হাসপাতালে হামলাই করেনি অ্যাম্বুলেন্সগুলো পুড়িয়ে দিয়েছে। তাদের অনেককেই ঢাকা ও ঢাকার বাইরে থেকে আমরা গ্রেফতার করেছি।

আরএসএম/ইএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।