২৮ অক্টোবর নাশকতার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ গ্রেফতার

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১:৩৯ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০২৩

২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ও পরবর্তী সময়ে নাশকতার মূল পরিকল্পনাকারী এবং নাশকতায় সক্রিয় ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রদলের এক নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক শামিম মাহমুদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার ছাত্রদল নেতা মহাসমাবেশের দিন পল্টন পার্টি অফিস এলাকা এবং রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বলে দাবি করছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর মুগদা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

বুধবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সন্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘শামীম গত ২৬ অক্টোবর থেকে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। যার বাস্তবায়ন করেছিল ২৮ অক্টোবর।সেদিনের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, সে পল্টন পার্টি অফিস ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নাশকতার জন্য ঢুকেছিল। ব্যাগে করে ককটেল নিয়ে সে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। তার দলীয় পরিচয় আমরা জেনেছি, সে ঢাকা দক্ষিণ ছাত্রদলের এক নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক। শামীমের কেন্দ্রীয় এক নেতার নির্দেশনা অনুযায়ী, সমাবেশের আগে দনিয়া ফুটওভার ব্রিজের নিচে গিয়ে মারুফ নামের একজনের থেকে একটি ব্যাগ সংগ্রহ করে। সেটি এনে রিয়াদ নামের একজনের কাছে নয়া পল্টনে পৌঁছে দেবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সেটা করাও হয়। ২৮ তারিখে সে কাজগুলো তারা করতেও পারে সফলভাবে।’

চলতি মাসের ৫ অক্টোবর সবুজবাগ থানার মানিকদি গ্রিন মডেল টাউনের শেষ মাথায় খালপাড়ে দুষ্কৃতকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েনাশকতা করছে। সবুজবাগ থানার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিকভাবে উপস্থিত হলে, দুস্কৃতকারীরা পালিয়ে যায়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ বিশেষ, একটি অবিস্ফোরিত ককটেল, একটি পেট্রোল বোমা, দুইটি ২৫০ মি.লি. প্লাস্টিকের বোতলে ৫০০ মি.লি. পেট্রোল, একটি নীল রংয়ের মোটরসাইকেল, একটি লাল রংয়ের হেলমেট। সেদিন জব্দ করা মোটরসাইকেলের সূত্র ধরে ছাত্রদল নেতা শামীমকে শনাক্ত করা গেছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

এছাড়া বুধবার ভোরে রাজধানীর পল্লবীর ১১ নাম্বার ওয়ালটনের গলিতে পার্কিং করা অবস্থায় বসুমতি পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগকারী মারুফকে গেফতার করে পুলিশ। মারুফকে জিজ্ঞাসাবাদ সম্পর্কে মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপি নেতা সাজ্জাদ কাউন্সিলর ও জসিমের নির্দেশে ও তাদের প্রত্যক্ষ সহায়তা ও প্ররোচনায় কেরোসিন ঢেলে বাসে আগুন দেওয়া হয়। এ কাজের জন্য তাকে ৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় পল্লবী থানায় মামলা করা হয়েছে।’

বিএনপি তালাবদ্ধ অফিসের চাবি পুলিশের হাতে দলটির এমন অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে ড. খ. মহিদ উদ্দীন বলেন, এর আগে একাধিকবার বলেছি। বিএনপি অফিসের চাবি তাদের হাতে। একাধিকবার স্পষ্ট করে বলেছি এই চাবি তো আমাদের হাতে নেই।

আরএসএম/এসএনআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।