বিশ্ব ইজতেমা: প্রথম পর্ব ২-৪, দ্বিতীয় পর্ব ৯-১১ ফেব্রুয়ারি
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দুই পর্বে তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমার প্রথম পর্ব ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথম পর্বের ইজতেমায় মাওলানা জুবায়ের আহমদ পক্ষের অনুসারীরা অংশ নেবেন। দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেবেন মাওলানা ওয়াসিফুল ইসলাম পক্ষের অনুসারীরা।
উভয় পক্ষের নেতাদের নিয়ে বুধবার (১৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে বৈঠক শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘ইজতেমায় বিদেশিরা কীভাবে আসবে পরে এ নিয়ে সভা হবে। যা যা প্রয়োজন- বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, সচিবসহ বসে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
তিনি বলেন, ‘আরেক দাবি তারা করেছিলেন, মসজিদে মসজিদে যেন কোনো গ্রুপ প্রাধান্য না পায়, সবাই মিলেমিশে কাজ করতে পারে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এটি সব মসজিদে জানিয়ে দেবেন। ধর্মের দাওয়াতে এক গ্রুপ যাওয়ার পর আরেক গ্রুপ যেতে পারবেন। মসজিদ কর্তৃপক্ষ নিরপেক্ষ থাকবে।’
‘সামনে নির্বাচন। সাদ আসবেন কি না সেই সিদ্ধান্ত পরে হবে। এছাড়া যেসব সিদ্ধান্ত অমীমাংসিত রয়েছে সেগুলো আমাদের নতুন সরকার এলে আলোচনার মাধ্যমে শেষ করবো। কিংবা নির্বাচনের পরেও যদি আমরা সময় পাই ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আছেন, আমরা আছি, আমরা চেষ্টা করবো তাদের এই গ্যাপের মধ্যেও যদি পারি অমীমাংসিত সমস্যাগুলো আমরা সমাধান করতে চেষ্টা করছি।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘তারা একত্র হতে পারছেন না। দুইজন এক প্লেটে ভাত খাওয়া মানুষ, একের পেছনে আরেকজন নামাজ পড়েন তারা। কিন্তু যখন এই প্রসঙ্গগুলো আসে তখন মারমুখী হয়ে যায়। তিনটি মার্ডার হয়েছিল, ভুলে যাননি, দেড়শ আহত হয়েছিল, ভাঙচুর হয়েছিল, সেজন্য আমরা কোনো রিস্ক নিতে চাই না।’
আসাদুজ্জামান খান আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি ইজতেমা দুটি ভাগ হয়ে গিয়েছিল। বাধ্য হয়েই দুই গ্রুপকে দুই সময়ে করতে দেওয়া হয়।’
‘প্রতিবারই কে আগে করবেন কে পরে করবেন সেই সিদ্ধান্ত তারা নিতে পারেন না, আমাদের কাছে আসেন। আমরা বলেছিলাম আপনারা এক হয়ে আমাদের বলেন। তারা একমত না হতে পারায় আমরা তাদের গতবারের মতো করে করতে বলেছি।’
বৈঠকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জহাঙ্গীর আলম ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরএমএম/কেএসআর/জিকেএস