বিশ্ব মানবিকতার বিবেক কোথায়, ফিলিস্তিন ইস্যুতে প্রধান বিচারপতি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:০৪ এএম, ১৩ নভেম্বর ২০২৩

ফিলিস্তিনে মানবিক বিপর্যয়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, বিশ্ব মানবিকতার বিবেক এখন কোথায়। তিনি বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) মানুষের প্রতি ভালোবাসার কথা বলেছিলেন। শুধু মুসলমানের জন্য ভালোবাসার কথা বলেননি, সারা পৃথিবীর মানুষের জন্য বলেছেন।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবি-২০২৩ উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি। রোববার (১২ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে এ দোয়া মাহফিল হয়।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি (বার অ্যাসোসিয়েশন) সমিতির সম্পাদক আব্দুন নুর দুলাল ও যুগ্ম সম্পাদক নুরে আলম উজ্জ্বল। সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।

বক্তব্য রাখেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান (এম আর হাসান), অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বুদু প্রমুখ।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা একটা বিশ্বাসের ওপরে চলছি। এই বিশ্বাসটা হচ্ছে, নবী করিম (সা.) বলে গেছেন এটা আল্লাহর কোরআন। তোমরা এটা ফলো করো। এখানে সব কথা বলা আছে। এই অনুযায়ী চলো। আর আমার জীবন লক্ষ্য করো। আমরা তার জীবন লক্ষ্য করে চলছি। এই জীবন লক্ষ্য করে চললে আমার মনে হয় না আমাদের জীবনে কোনো দুঃখ কষ্ট থাকবে। বিশ্ব মানবিকতার কথা বলা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, বিশ্বে আজকে মানবিক বিপর্যয় ঘটছে। আজকে ফিলিস্তিনের যে অবস্থা- এই অবস্থার জন্য কারা দায়ী, কীভাবে দায়ী, কেন হলো এই অবস্থা? ইতিহাস পেছন থেকে একটু পড়তে হবে। ইতিহাস যদি পড়েন দেখবেন, কমবেশি সবার ভুল থাকতে পারে। কিন্তু একটি বিষয়ে ভুল নেই- মানুষ হত্যা করা, নারী হত্যা করা, শিশু হত্যা করা, যে কোনো মানুষকে হত্যা করা জঘন্য পাপ। সব ধর্মে তাই বলে।

ফিলিস্তিনের বিপর্যয়ের বিষয়ে প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, টেলিভিশনে দেখবেন প্রতিদিন ফিলিস্তিনে কত লোক মারা যাচ্ছে। আমরা এক উম্মাহ বলি! সারা বিশ্বের মুসলিমরা এক উম্মাহ! কোথায়? কোথায় হইচই, কোথায় শব্দ?

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণ করেছে। আমরা কোনো আক্রমণকে সমর্থন করি না। বাংলাদেশ সরকারও সমর্থন করেনি। সেখানে বিশ্বের বহু অংশ সরব। জাতিসংঘে রেজুলেশন নিচ্ছে। সেখানে তারা ভেটো দিচ্ছে। কিন্তু ইসরায়েলের ব্যাপারে জাতিসংঘের মহাসচিব একটি শক্ত কথা বলেছেন, সেই শক্ত কথা বলার পর মহাসচিবের পদত্যাগ দাবি করা হচ্ছে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ইসরায়েল সেদিন যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে, রেজুলেশনের কপি ছিঁড়ে ফেলে দিলো কোনো একটা মিটিংয়ে। আমার কাছে মনে হয়েছিল পতন বোধহয় আসন্ন। কারণ, এ রকম একটি ঘটনা ১৯৭১ সালে জুলফিকার আলী ‍ভুট্টো ঘটিয়েছিলেন। যখন না কি বাংলাদেশের অত্যাচারের ব্যাপারে একটি রেজুলেশন নেওয়া হয়েছিল। জুলফিকার আলী ভুট্টো তখন সেটা ছিঁড়ে রেখে দিলেন। পতন হয়ে গেল পাকিস্তানের। ঠিক আমার কাছে মনে হয়েছে ইসরায়েল সে ঘটনাই ঘটিয়েছে।

এফএইচ/জেডএইচ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।