নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ভারত-রাশিয়াসহ ৫০ দেশকে আমন্ত্রণ জানাবে ইসি
দরজায় কড়া নাড়ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সব প্রস্তুতি শেষে চলতি সপ্তাহে হতে পারে তফসিল ঘোষণা। জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ভারত ও রাশিয়াসহ ৫০টির মতো দেশ পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আমন্ত্রণ।
ইসির আমন্ত্রণের তালিকায় ভারত-রাশিয়া ছাড়াও থাকছে দক্ষিণ কোরিয়া, উজবেকিস্তান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, ভুটান এবং আফগানিস্তানের মতো দেশগুলো। রোববার (১২ নভেম্বর) ইসি সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
বিদেশি পর্যবেক্ষক আসার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দূতাবাসগুলোতে আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। আগামী ২১ নভেম্বর আবেদনের শেষ সময়। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা আবেদন জানিয়েছে। এছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সংস্থা, যেগুলোতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সদস্য, তাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে।
অন্যদিকে সংস্থাগুলোর মধ্যে ওয়ার্ল্ড ইলেকশন বডি, ফেমবোসা, সার্ক, অ্যাসোসিয়েশন অব আফ্রিকান ইলেকশন অথরিটির চেয়ারম্যান ও মহাসচিবদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে।
এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, সোমবার (১৩ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত বৈঠক হবে। সেখানেই চূড়ান্ত হবে কাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। আমাদের যারা আমন্ত্রণ জানিয়েছে এমন নির্বাচনী সংস্থা ও দেশগুলোকে আমরা আমন্ত্রণ জানাবো।
ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম জানিয়েছেন, এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ব্যক্তি পর্যায়েও কেউ কেউ ভোট পর্যবেক্ষণের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এনডিআই, আফ্রিকান ইলেক্টোরাল এলায়েন্স থেকে ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল ও অস্ট্রেলিয়ান একজন নাগরিক বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আবেদন করেছে।
অশোক কুমার দেবনাথ আরও বলেছেন, যারা আবেদন করছেন, তাদেরটাও আমরা বাছাই করবো। আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এটা চূড়ান্ত করা হবে। অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তবে সবাই ভোটের তারিখ জানতে চাচ্ছেন। কেননা, তারা সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নেবেন। আমরা সেটা এখনই বলতে পারছি না। তফসিল হয়ে গেলেই আবেদন বাড়তে পারে।
কবে নাগাদ তফসিল বা কমিশন বৈঠক হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসির এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, যেদিন ঘোষণা হবে সেদিনই জানতে পারবেন। আরও দুদিন অপেক্ষা করেন। তবে এবার তফসিল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে যে কমিশন বৈঠক হবে তার চিঠি জারি হবে না।
এমওএস/এমকেআর/জিকেএস