নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করবো: মহিদ
নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগ করবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খ. মহিদ উদ্দিন।
রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপির নিরাপত্তার পরও এত বাসে কীভাবে আগুন দেওয়া হচ্ছে, জানতে চাইলে ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, পরিপূর্ণ নিরাপত্তা বলতে আসলে পৃথিবীতে কিছু নেই। সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং হয় চোরাগোপ্তা কিংবা ছদ্মবেশে হামলা। সমকালীন সময়ে আমরা এর কিছু নমুনা দেখছি। তারপরও যত ধরনের নিরাপত্তা পদ্ধতি প্রয়োগ করা যায় সেটি আমরা করছি। কিন্তু যারা এ ধরনের চোরাগোপ্তা নাশকতা করছে, তারাও কিন্তু তাদের স্থান ও সময় পরিবর্তন করছে। তারা যে জিনিস দিয়ে নাশকতা করছে সেগুলোরও পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে। এখন যারা যাত্রীবেশে চোরাগোপ্তা হামলা কিংবা নাশকতা করছে সেটি ১০০ ভাগ নির্মূল করা চ্যালেঞ্জিং। তবে আমাদের চেষ্টা আছে। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নাশকতা প্রতিরোধে আমরা আরও কিছু পদ্ধতি আজ থেকে নতুন করে শুরু করবো। যাতে বাসে যাত্রীবেশে নাশকতারীদের আসাটা আরও কঠিন হয়। আরও কিছু কাজ আমরা করবো যেগুলো এখন বলতে চাচ্ছি না। এসব নিষ্ঠুর কাজের জন্য দেশের প্রচলিত আইন খুবই কঠোর। নাশকতাকারীরা যদি এসব বন্ধ না করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হবে।
আরও পড়ুন>> সূত্রাপুরে ফায়ার স্টেশনের সামনেই মালঞ্চ বাসে আগুন
আইনের কঠোর প্রয়োগ কেমন হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আইনের মধ্যে থেকেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ধরনের অপরাধের জন্য যেসব আইন দেশে আছে সেসব আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হবে।
নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে গুলি করার কোনো সিদ্ধান্ত ডিএমপি নিয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো কিছুই আমরা আইনের বাইরে বলিনি। দেশের প্রচলিত আইনেই বলা হয়েছে, কখন কোন পদক্ষেপটি আইনসম্মত।
চতুর্থ দফা অবরোধে নাশকতা প্রতিরোধে ডিএমপি সর্বোচ্চ কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আইনের সর্বোচ্চ কঠোর প্রয়োগ করবো। যদি কেউ কোনোভাবে নাশকতা করতে চায় বা জীবন এবং সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায়, তাদের ধরা হবে ও আইনের কাছে সোপর্দ করা হবে।
গুলি করার বিষয়ে আবারও প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, লিখিতভাবে এমন কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে আমার জানা নেই। আমরা নাশকতারোধে যা কিছু করবো তা আইনের মধ্যে থেকেই।
২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ৬টি অস্ত্র খোয়া যায়। সেগুলো উদ্ধার হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। আরও সময় লাগবে।
আরএসএম/এমএইচআর/এমএস