টানেল যুগে প্রবেশের অপেক্ষায় বাংলাদেশ
দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হতে যাচ্ছে আজ। আর কিছু সময় পরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন বঙ্গবন্ধু টানেল। এর মধ্য দিয়েই টানেলযুগে প্রবেশ করবে বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রীর নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আজ (২৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীরে পতেঙ্গা প্রান্তে নির্মিত টানেল ফলক উম্মোচনের কথা রয়েছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত এ টানেল শুধু বাংলাদেশ নয়, দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র সড়ক সুড়ঙ্গ পথ।
টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে চট্টগ্রাম সফরসূচির মধ্যে রয়েছে, সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে তেজগাঁও বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। সেখান থেকে ৯টা ৪৫ মিনিটে হেলিকপ্টার যোগে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। ১০টা ৫৫ মিনিটে হেলিকপ্টার চট্টগ্রাম নেভাল একাডেমিতে পৌছাবেন। বেলা সাড়ে ১১টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন করবেন তিনি।
এরপর টানেল হয়ে আনোয়ারা প্রান্তে পৌঁছে ১২টায় সমাবেশে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। ২টায় জনসভা শেষ করে আবার টানেল হয়ে ফিরে পতেঙ্গা এবং নেভাল একাডেমি থেকে ২টা ১৫ মিনিটে হেলিকপ্টারযোগে ঢাকায় রওনা দেবেন।
জানা যায়, টানেল নির্মাণে মোট ব্যয় প্রায় ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ও চীন সরকার ‘জি টু জি’ অর্থায়নে টানেলটি নির্মাণ করছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে ৪ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা। চীন সরকারের অর্থসহায়তা ছিল ৬ হাজার ৭০ কোটি টাকা।
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর কর্ণফুলী নদীর তলদেশে স্বপ্নের টানেল নির্মাণকাজের যৌথভাবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনা রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম টানেল টিউবের বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন। টানেল নির্মাণকাজ করে চীনের প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।
সাড়ে চার বছরের নির্মাণযজ্ঞ শেষে আজ উদ্বোধন হচ্ছে এই টানেল। টানেলের ভেতরে থাকা দুটি টিউব প্রত্যেকটির দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। সংযোগ সড়কসহ টানেলের মোট দৈর্ঘ্য ৯ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার।
এমডিআইএইচ/এসটি/জেআইএম