ঘূর্ণিঝড় হামুন: সদরঘাট থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। এটি বুধবার সকাল নাগাদ বাংলাদেশের বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এজন্য সদরঘাট থেকে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচলকারী লঞ্চ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফা জাগো নিউজকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করার কথা জানান।
তিনি বলেন, সকালে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত জারি করার জন্য উপকূলীয় অঞ্চলে সকালেই লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেই আমরা। কিন্তু সদরঘাট থেকে চাঁদপুরে লঞ্চ চলছিল। বিকেল ৩টা থেকে সেটাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চ বিকেলের পর সদরঘাট ছেড়ে যায়। সেগুলো আর যাবে না।
পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকতে পারে বলেও জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-১১) জানানো হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শেষ রাত থেকে সকাল নাগাদ মেঘনা মোহনার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অতিক্রম করতে পারে।
পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরএমএম/এমএইচআর/এএসএম