কিছুটা দুর্বল হয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে ‘হামুন’
ইতোমধ্যে ‘হামুন’ অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় হয়ে উঠেছে। এটি মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশের উপকূল থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরে ছিল। এটি শেষ রাত থেকে বুধবার সকাল নাগাদ মেঘনা মোহনার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তবে ‘হামুন’ সাগরে থাকতেই দুর্বল হয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়, এরপর সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এটি সাধারণ ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তাই মহাবিপৎসংকেত জারি নাও হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, উপকূলে আঘাত হানার আগে ‘হামুন’ কিছুটা দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এজন্য আমরা ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দিয়েছি। আপাতত আর সংকেত বাড়ার (মহাবিপৎসংকেত জারি) কোন সম্ভাবনা নেই। কারণ এটি অতিপ্রবণ বা প্রবল হিসেবে উপকূল অতিক্রম করার আশঙ্কা নেই।
হাতিয়া, সন্দ্বীপ ও ভোলা- এ অঞ্চলের পাশ দিয়েই ‘হামুন’ এর চোখ বা কেন্দ্র যাবে জানিয়ে তিনি বলেন, চোখ বা কেন্দ্রের পরিধি ৬০ কিলোমিটার এবং পুরো ঘূর্ণিঝড়টি ৪০০ কিলোমিটার ব্যাপী বিস্তৃত।
উপকূলে আঘাত হানার সময় ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের সর্বোচ্চ গতি ৯০ কিলোমিটার থাকতে পারে বলেও জানান আজিজুর রহমান।
ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ‘হামুন’ কয়েক ঘণ্টা অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে থাকবে। এরপর এটি ক্রমে দুর্বল হতে থাকবে। এরপর এটি বুধবার ভোর ৬টা নাগাদ বাংলাদেশের খেপুপাড়া-চট্টগ্রাম উপকূলের মধ্য দিয়ে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে স্থলভাগে উঠতে পারে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-১১) জানানো হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন' আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কিলোমিটার পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শেষ রাত থেকে সকাল নাগাদ মেঘনা মোহনার নিকট দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অতিক্রম করতে পারে।
পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরএমএম/জেএইচ/জিকেএস