কোটি টাকা ঘুস দিয়ে কর ফাঁকি

অনুসন্ধানে ব্যবসায়ীর অবৈধ সম্পদ খুঁজে পেল দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:৫৯ পিএম, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

৩২ কোটি ২ লাখ ৮০ হাজার ২০৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে রাজধানীর সূত্রাপুরের বাসিন্দা মোহাম্মদ আবু সাঈদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২২ অক্টোবর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন উপ-পরিচালক এস এম এম আখতার হামিদ ভুঞা। সোমবার (২৩ অক্টোবর) দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, কর অঞ্চল-৭-এর কর কমিশনার এ জেড এম জিয়াউল হককে ১ কোটি টাকা ঘুস দিয়ে বিপুল অংকের কর ফাঁকি দিয়েছেন মর্মে অভিযোগ পাওয়ার পর দুর্নীতি দমন কমিশন আসামি মোহাম্মদ আবু সাঈদের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ জারি করে। দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানা যায়, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৩২ কোটি দুই লাখ ৮০ হাজার ২০৯ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনও দখলে রেখেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন তিনি।

মামলার এজহারে আরও বলা হয়, অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি দুর্নীতি দমন কমিশনের হটলাইন নম্বর ১০৬ এ ফোন করে অভিযোগ করেন যে, আবু সাঈদ নামে একজন করদাতা, যিনি কর অঞ্চল-৭-এর কর কমিশনার এ জেড এম জিয়াউল হককে এক কোটি টাকা ঘুস প্রদানের বিনিময়ে বিপুল অংকের কর ফাঁকি দিয়েছেন। ওই অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রাপ্তির পর অনুসন্ধানের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

অভিযোগ অনুসন্ধান করে সংশ্লিষ্ট জিয়াউল হক, তার স্ত্রী মোর্শেদা কুদ্দুস ও মোহাম্মদ আবু সাঈদ সম্পদ বিবরণী তলব করা হয়। আসামি মোহাম্মদ আবু সাঈদের সম্পদ বিবরণী বিশ্লেষণ ও অনুসন্ধান করে তার বিরুদ্ধে ৩২ কোটি ২ লাখ ৮০ হাজার ২০৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পায় দুদক। আসামি ২০১৪-২০১৫, ২০১৫-২০১৬ ও ২০১৬-২০১৭ সালে করবর্ষের রিটার্নে ৩২ কোটি টাকার সম্পদ মৎস্য ও পোল্ট্রি খামার প্রদর্শন করলে দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, ২০১৯-২০২০ সালে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে খামারগুলো করা হয়েছে। অর্থ্যাৎ দুদকের অনুসন্ধান শুরু হওয়ার পরই খামার তৈরি করা হয়।

এসএম/এসএনআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।