তনু হত্যার রহস্য উদঘাটিত হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


প্রকাশিত: ১০:৫৪ এএম, ২৭ মার্চ ২০১৬

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটিত হবে বলে আশা দেখিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তনুর হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে ইতোমধ্যে এককাট্টা হয়েছেন দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। আন্দোলন হয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।

গত ২০ মার্চ কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসের অলিপুর এলাকায় একটি কালভার্টের পাশের জঙ্গল থেকে সোহাগী জাহান তনুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সেনানিবাসের ভেতরে ধর্ষণের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা অনেকের।  

রোববার র্যাব সদর দফতরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তাবাহিনীর উপর মানুষের আগের চেয়ে আস্থা বেড়েছে। ঘটনাটির তদন্ত চলছে। তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। তদন্ত শেষে এ ব্যাপারে ভালো কিছু জানানো সম্ভব হবে। আশা করছি মূল রহস্য উদঘাটিত হবে।

ব্যাপক প্রতিবাদের মধ্যে তনু হত্যা মামলাটি ইতোমধ্যে গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। তনুর বাবা ইয়ার হোসেন মামলাটি দায়ের করেছেন।
 
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হক, র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) কর্নেল জিয়াউল আহসান।

কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহকারী ইয়ার হোসেনের মেয়ে তনু। তার বাড়ি মুরাদনগর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামে। তনু একজন সংস্কৃতিকর্মী ছিলেন। নাটক, নৃত্য ও আবৃত্তি এই তিন মাধ্যমেই ছিল তার অল্প বিস্তর যাতায়াত। বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ ও গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের অন্তর্ভুক্ত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটারের নিয়মিত সদস্য ও কলেজের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি। অসচ্ছল পরিবারে বাবা-মায়ের বোঝা না হয়ে ছাত্রছাত্রী পড়িয়ে নিজের খরচ চালাতেন সোহাগী জাহান তনু।

এআর/এনএফ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।