সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সাউদি লুব্রিকেন্টসের ‘সেইফ হাইওয়েজ’
সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ আরএফএলের লুব্রিকেন্টস ব্র্যান্ড ‘সাউদি’ জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন ‘সেইফ হাইওয়েজ’ শুরু করেছে। গত ১১ অক্টোবর শুরু হওয়া এ ক্যাম্পেইন চলবে আগামী ছয় মাস।
এই ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে আগামী ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে দেশের ২১ জায়গায় জনসচেনতামূলক র্যালি করবে সাউদি লুব্রিকেন্টস। এছাড়া ১০৯টি অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিতকরণ এবং ২২৯টি দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান গুগল ম্যাপে যুক্ত করার পাশাপাশি এ ক্যাম্পেইন চলাকালীন চালকদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং ভারী যানবাহনে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সচেনতামূলক তথ্য সংবলিত ব্র্যান্ডিংসহ নানা ধরনের কর্মসূচি রয়েছে ক্যাম্পেইনে।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) রাজধানীর বাড্ডার প্রাণ সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্যাম্পেইন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন আরএফএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর এন পাল।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাউদি লুব্রিকেন্টসের নির্বাহী পরিচালক কাজী রাশেদুল ইসলাম, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মীর লুৎফর রহমান, হেড অব মার্কেটিং জহিরুল ইসলাম শিমুল, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (জনসংযোগ) তৌহিদুজ্জামান ও রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক আমিনুর রহিম।
আরও পড়ুন>> উচ্চ রক্তচাপ-চোখের সমস্যায় ভুগছে অধিকাংশ চালক
এসময় আর এন পাল বলেন, আরএফএল গ্রুপ সবসময় ভোক্তার চাহিদার অনুযায়ী উন্নত কাঁচামাল ব্যবহার করে পণ্য উৎপাদন করে থাকে। দেশের প্রতিটি গৃহস্থালিতে কোনো না কোনো আরএফএল পণ্য ব্যবহার হয়ে থাকে। সে কারণে ভোক্তাদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেই দায়বদ্ধতা থেকে আমরা নানা ধরনের সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করে থাকি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের মহাসড়কগুলো উন্নত হচ্ছে, তারপরও সড়ক দুর্ঘটনার অধিকাংশই ঘটে সেখানে। কারণ সচেতনতার অভাব এখন বড় সমস্যা। আমরা মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে চালক, যাত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের সচেতন করতে এ ক্যাম্পেইন চালু করেছি। আমরা আশা করি, ক্যাম্পেইনটি মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে এবং সংশ্লিষ্টদের সচেতন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
সাউদি লুব্রিকেন্টস এর নির্বাহী পরিচালক কাজী রাশেদুল ইসলাম বলেন, হাইওয়ে পুলিশ, রোড সেফটি ফাউন্ডেশন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের মতামতের ভিত্তিতে আমরা মহাসড়কে দুর্ঘটনাপ্রবণ জায়গা চিহ্নিত করেছি। পরে আমরা ও ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপ বাইকবিডি কমিউনিটির সহায়তায় গুগল ম্যাপে দুর্ঘটনাপ্রবণ জায়গাগুলো পিনড করছি। সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন করার জন্য আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি বলেন, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অনুমতিক্রমে আমরা দেশের বিভিন্ন দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান মার্কিং করছি, যাতে করে চালকরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে স্থানটি অতিক্রম করেন।
আরও পড়ুন>> ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের গর্বিত অংশীদার রেইনবো পেইন্টস
কাজী রাশেদুল ইসলাম আরও বলেন, একটি গাড়ি দুর্ঘটনার জন্য লুব্রিকেন্টসেরও কিছু ভূমিকা থাকে। এটিকে গাড়ির ব্লাড বলা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে অর্ধেক লুব্রিকেন্টস নকল ও নিম্নমানের। সে বিষয়েও সচেতনতা জরুরি। সেটাও প্রচার করা হবে এ ক্যাম্পেইনে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক আমিনুর রহিম জানান, দেশে প্রতি বছর গড়ে সাত হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। এছাড়া প্রায় ১২ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করেন। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতের সংখ্যা প্রতি বছর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, এসব দুর্ঘটনার তথ্য ও পরিসংখ্যান শুধু আমরা দেখছি, কিন্তু কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছি না। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ এমন একটি সচেতনতা ক্যাম্পেইন করছে দায়বদ্ধতা থেকে। যেটি দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর হবে বলে আশা করছি।
এনএইচ/ইএ/এমএস