হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট
ক্ষমতাসীনরা পূজায় হামলা করে অন্যদের ওপর দোষ চাপাতে পারে
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে আওয়ামী লীগ নেতারা উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। তারা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছেন। ক্ষমতাসীনরা দুর্গোৎসবে সহিংসতার চেষ্টা করতে পারে। নিজেরা পূজামণ্ডপে হামলা করে অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে বহির্বিশ্বকে দেখানোর চেষ্টা করতে পারে।
রোববার (১৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের নীলনকশা; দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি সমর্থিত হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার এসব কথা বলেন।
বিজন কান্তি সরকার অভিযোগ করে বলেন, আমরা মনে করি ক্ষমতাসীন দল দুর্গোৎসবে সহিংসতার চেষ্টা করবে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কয়েকদিন আগে বলেছেন, ‘আমার ভয় হচ্ছে এদের (হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজামণ্ডপে) ওপর না আক্রমণ হয়।’ উনার এমন ভীতি প্রকাশের পরদিনই আক্রমণ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কুমিল্লা সদরের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার আমাদের দুর্গোৎসবকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিয়েছেন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যখন প্রতিবাদ করতে দাঁড়িয়েছে তখন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ আক্রমণ করেছে। আবার পরদিন তারা শান্তি মিছিল করেছে। সর্প হয়ে দংশন করে ওঝা হয়ে ঝাড়লে তো হবে না।
বিজন কান্তি বলেন, আওয়ামী লীগ বিপদে পড়লে সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করে। ব্যবহার শেষ হয়ে গেলে আবার আক্রমণও করে। দুর্গাপূজা ঘিরে অতীতেও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এসব দুর্ঘটনা রাজনৈতিক কারণে ঘটানো হয়েছে। এবারও আমরা এমন আশঙ্কা করছি।
এর আগে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির চেয়ারম্যান বলেন, রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজাসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসবে পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আক্রমণ করা হয়। ভোটাধিকার তথা গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবিতে সংগ্রামরত ঐক্যবদ্ধ মানুষকে বিভক্ত করার জন্যই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের নীলনকশা ও ষড়যন্ত্রের এ কার্ড ব্যবহার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব এস এন তরুণ দে, সহ-সভাপতি রমেশ দত্ত, নারী ও শিশুবিষয়ক সম্পাদক বৃতা দত্ত, সিনিয়র উপদেষ্টা তপন মজুমদার, ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক হৃদয় চন্দ্র ঘোষ ও সহকারী সচিব মৃণাল কান্তি বৈষ্ণব প্রমুখ।
আরএ/এমকেআর/জিকেএস