প্রধানমন্ত্রী

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পদক্ষেপ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৫৭ পিএম, ০৫ অক্টোবর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে গড়ে তোলার কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, বাংলাদেশ আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি) সেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার আরেকটি পদক্ষেপ।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রূপপুরে ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে মস্কোর ক্রেমলিন থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্ত হন। এছাড়া ভিয়েনা থেকে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসিও রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প এলাকায় আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু: পুতিন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এটাই মনে করি, আজকের বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। আমরা নিউক্লিয়ার যুগে প্রবেশ করেছি।

বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধুপ্রতীম দেশ রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশসহ সবাইকে সম্মানিত করায় প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ার ফেডারেশন এবং এর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে তার সরকার, দেশবাসী এবং তার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশ-রাশিয়া বন্ধুত্ব অটুট থাকবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

প্রেসিডেন্ট পুতিনের বক্তৃতার উদ্ধৃতি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এইমাত্র আমরা প্রেসিডেন্ট পুতিনের কাছ থেকে শুনেছি ২০২৬ সালে আমাদের দ্বিতীয় ইউনিট এবং ২০২৪ সালে প্রথম ইউনিট চালু হবে। আমরা সে লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। অচিরেই প্রথম ইউনিট থেকে ১২শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। এ বিদ্যুৎ হবে অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব।

আরও পড়ুন: ইউরেনিয়াম জ্বালানির যুগে বাংলাদেশ

এর আগে তার সরকার ২০২৩ সালের মধ্যে প্রথম ইউনিট থেকে এবং ২০২৪ সালের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল বলেও জানান সরকারপ্রধান।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পদক্ষেপ

তিনি বলেন, এই বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার জন্য আমরা পৃথক আইন প্রণয়নের মাধ্যমে ‘নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্ট কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড’ নামে একটি কোম্পানি গঠন করেছি। যে কোনো ধরনের দুর্যোগে আমাদের এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে খেয়াল রেখে প্ল্যান্টের ডিজাইন প্রণয়ন এবং নির্মাণকাজ পরিচালনা করা হচ্ছে। তাছাড়া ব্যবহৃত জ্বালানি (স্পেন্ট ফুয়েল) ব্যবস্থাপনার জন্য আমরা রাশিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তি সই করেছি। রাশিয়ান ফেডারেশন এসব স্পেন্ট ফুয়েল তাদের দেশে ফেরত নিয়ে যাবে বলে আমাদের কথা দিয়েছে।

রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, আইএইএর মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রসি, রোসাটমের মহাপরিচালক অ্যালেক্সিই লিখাচেভ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

শুরুতে আরএনপিপি’র প্রথম ব্যাচের পারমাণবিক জ্বালানি তৈরি ও বিতরণের ওপর একটি অডিও-ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। যেখানে আরএনপিপি প্রকল্প পরিচালক এবং এনপিসিবিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. শৌকত আকবর আরএনপিপি’র পরিচিতি তুলে ধরেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব মো. আলী হোসেন।

আরও পড়ুন: বিশ্বের ৩৩তম দেশ হিসেবে পারমাণবিক ক্লাবে বাংলাদেশ

পরে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পক্ষ থেকে রোসাটমের মহাপরিচালক অ্যালেক্সিই লিখাচেভ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তরের জন্য জ্বালানি সরবরাহের সনদ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের হাতে জ্বালানি সরবরাহের একটি মডেল তুলে দেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, জাতীয় সংসদের উপনেতা এবং দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক গণভবন প্রান্তের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

তেজষ্ক্রিয় জ্বালানি হস্তান্তর করার ফলে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৩তম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় তৃতীয় পারমাণবিক জ্বালানি ব্যবহারকারী রাষ্ট্র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ভাষণে এ শক্তিকে শান্তির জন্য ব্যবহার এবং পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তির বাস্তবায়নের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, পরমাণু শক্তি আমরা শান্তিরক্ষায় ব্যবহার করবো। আমরা বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক অস্ত্রের সাধারণ ও সম্পূর্ণ নির্মূল এবং পারমাণবিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ চুক্তির বাস্তবায়নের প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছি। আমরা ‘বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ আইন’ প্রণয়ন করেছি এবং একটি স্বাধীন পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করেছি।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পদক্ষেপ

এই কর্তৃপক্ষ ‘আইএইএ’র সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রতিটি স্তরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে জয়ী হয়ে আমরা সরকার গঠন করি। ২০২০ সালের মধ্যে ‘সবার জন্য বিদ্যুৎ’ সরবরাহের লক্ষ্য নিয়ে ‘ভিশন স্টেটমেন্ট ও পলিসি স্টেটমেন্ট অন পাওয়ার সেক্টর রিফর্মস’ প্রণয়নও অনুমোদন করি। ১৯৯৬ সালে আমরা জ্বালানি নীতিতে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করি। ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প’ বাস্তবায়নের কার্যক্রম শুরু করি। ‘বাংলাদেশ নিউক্লিয়ার পাওয়ার অ্যাকশন প্ল্যান-২০০০’ প্রণয়ন করি। ‘আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা’ ‘আইএইএ’র সহযোগিতা চাই। ‘আইএইএ’র আান্তরিক সহায়তায় আমরা একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনাও গ্রহণ করি এবং একটি বিশেষ কমিটিও করে দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, এরপর সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ায় এ প্রকল্প আর এগোয়নি এবং ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০০৯ সালে পুনরায় আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে রূপপুর পরমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প আবারও বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগ সরকার।

আরও পড়ুন: রূপপুরে ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে হাসিনা-পুতিন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা রূপকল্প-২০২১ ঘোষণা দিয়েছিলাম আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে কাজেই তারসঙ্গে সঙ্গতি রেখে আবার রূপপুর প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করি। বন্ধুরাষ্ট্র রাশিয়া এটি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসে। তাছাড়া ‘আইএইএ’ শুরু থেকেই আমাদের নানাভাবে সহায়তা করে আসছে। এজন্য আমি রাশিয়ান ফেডারেশন সরকার, আইএইএ এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

তিনি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে তার রাশিয়া সফরে পুতিনের সঙ্গে মস্কোতে বৈঠক এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য চুক্তি সই অনুষ্ঠানের কথা স্মরণ করেন।

তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ২ অক্টোবর প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছি। এখন পর্যন্ত আপনার সর্বাত্মক সহযোগিতায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে। তিনি বন্ধুরাষ্ট্র ভারত এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও এই নির্মাণকাজে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান।

সরকারপ্রধান ২০১৭ সালে ‘আইএইএ’র তৎকালীন মহাপরিচালক ইউকিও আমানো’র আমন্ত্রণে ভিয়েনা সফরের সময় ‘আইএইএ’র সদরদপ্তরে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে সেসময় এ প্রকল্পে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে তাদের সার্বিক সহায়তা ও মনিটরিং করার আহ্বানের উল্লেখ করেন।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পদক্ষেপ

তিনি বলেন, সেই থেকে ‘আইএইএ’ আমাদের এ বিষয়ে সার্বিক সহায়তা করছে। এরপর ২০১৭ ও ২০১৮ সালে আমি এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিটের কংক্রিট ঢালাইয়ের উদ্বোধন করি। ২০২১ ও ২০২২-এ এই কেন্দ্রের যথাক্রমে ইউনিট-১ ও ইউনিট-২ এর রিঅ্যাক্টর প্রেশার ভেসেল স্থাপন করি। আজ এই কেন্দ্রে পারমাণবিক জ্বালানি সংযুক্ত হলো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় জনবল রাশিয়ান ফেডারেশন যথাযথ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। যেহেতু বন্ধুপ্রতীম ভারতেও একই রকম একটি প্রকল্প হচ্ছে- সেজন্য আমাদের কিছু জনবল প্রশিক্ষণের জন্য আমরা ভারতেও পাঠিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী এসময় এদেশে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন দেশ গঠনকালেই জাতির পিতার প্রচেষ্টার উল্লেখ করে বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা মাত্র নয় মাসেই একটি সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন। ‘গ্রামীণ উন্নয়ন ও কৃষি বিপ্লব’ শিরোনামে সেই সংবিধানের ১৬ নম্বর অনুচ্ছেদে যুক্ত করেছিলেন- ‘নগর ও গ্রামাঞ্চলের জীবনযাত্রার মানের বৈষম্য ক্রমাগতভাবে দূর করার উদ্দেশে কৃষি বিপ্লবের বিকাশ, গ্রামাঞ্চলে বৈদ্যুতীকরণের ব্যবস্থা, কুটিরশিল্প ও অন্য শিল্পের বিকাশ এবং শিক্ষা, যোগাযোগব্যবস্থা ও জনস্বাস্থ্য উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রামাঞ্চলের আমূল রূপান্তর সাধনের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।’

আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে রূপপুরের বিদ্যুৎ

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে লক্ষ্যে তিনি প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যুতায়নের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সমুদ্রসম্পদ এমনকি খনিজসম্পদ জাতীয়করণ করেছিলেন এবং বিদেশি ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলো থেকে আমাদের গ্যাস ফিল্ডগুলো কিনে নিয়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন এবং নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়াকে প্রস্তাবিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিচালকের দায়িত্ব দিয়েছিলেন জাতির পিতা। সে অনুযায়ী কিছু কাজও হয়েছিল। দুর্ভাগ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকেরা জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করার পর এই মেগা প্রকল্পটিসহ সব জনবান্ধব ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড থেমে যায়।

প্রধানমন্ত্রী সেই বিয়োগান্তক অধ্যায় স্মরণ করে দেশের জনগণের জন্য আজকের দিনটি অত্যন্ত আনন্দের দিন হিসেবে অভিহিত করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় পারমাণবিক জ্বালানি গ্রহণের মধ্য দিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আজ সফল পরিণতি লাভ করছে।

এসইউজে/এমকেআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।