শাহজালাল বিমানবন্দর

তৃতীয় টার্মিনালে সিঙ্গাপুরের মতো সেবা নিশ্চিত করা হবে: মফিদুর

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:৩৭ পিএম, ০২ অক্টোবর ২০২৩

হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর বা সমমানের বিমানবন্দরগুলোর মতো সেবা প্রদানে সংশ্লিষ্টদের বলা হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান।

সোমবার (২ অক্টোবর) শাহজালাল বিমানবন্দরের নবনির্মিত তৃতীয় টার্মিনালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। আগামী ৭ অক্টোবর তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন করা হবে।

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের দায়িত্ব বিদেশি সংস্থাকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে যাত্রীসেবার মান সুনিশ্চিত করতে পারবে- সে বিষয়গুলো নিশ্চিত হওয়ার পর আমরা বিদেশি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করবো। তাদের সঙ্গে চুক্তির সময় বলে দেওয়া হবে যেন যাত্রীসেবার মান সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দর বা সমমানের বিমানবন্দরগুলোর মতো হয়। এছাড়া আমাদের দেশীয় স্টেকহোল্ডার যারা আছে তাদেরও বলা হয়েছে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য। নতুন টার্মিনালে যাদের যতটুকু প্রয়োজন সে অনুযায়ী অফিস স্পেস বরাদ্দ দেওয়া হবে।

আরও পড়ুন>> শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের ৮৯ শতাংশ কাজ শেষ

তৃতীয় টার্মিনাল পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত জনবল আছে কি না- জানতে চাইলে এম. মফিদুর রহমান বলেন, জনবলের জন্য আমরা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। এছাড়া আমাদের এখন যারা আছেন তাদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এখানের একটা বড় দায়িত্ব আমাদের হাতে থাকবে না। এ দায়িত্বটা পালন করবে আমাদের বন্ধুপ্রতিম একটি দেশ। ইমিগ্রেশন পুলিশ ও কাস্টমসহ সংশ্লিষ্ট সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, ২০২০ সালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ১ হাজার ৪৭১ দিনের মধ্যে সফট ওপেনিং (আংশিক উদ্বোধন) করার কথা ছিল। চুক্তি অনুযায়ী আজ ১ হাজার ২৪১ দিন হলো। আগামী ৭ অক্টোবর সফট ওপেনিং হবে। সফট ওপেনিংয়ে উপস্থিত থাকতে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ছিল সফট ওপেনিংয়ের আগে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ করা। এখন প্রায় ৮৯ শতাংশের কাছাকাছি কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। আশা করি ওপেনিংয়ের আগে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে যাবে। আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে যাত্রীদের জন্য টার্মিনালটি ফুল ফাংশনাল করার। তবে আমাদের কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছি। নির্ধারিত সময়ের আগে যাত্রীদের জন্য টার্মিনালটি ফুল ফাংশনাল হবে বলে আশা করছি।

এমএমএ/ইএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।