রাজধানীতে টাকা আত্মসাৎকারী ভুয়া মেজর গ্রেফতার
ভুয়া মেজর পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারক মো. মহিউদ্দিন মজুমদারকে (৪৭) রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকা থেকৈ গ্রেফতার করেছে র্যাব-২। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক এএসপি শিহাব করিম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ভুয়া মেজর পরিচয়ে প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎকারী প্রতারক মো. মহিউদ্দিন মজুমদারকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন টিক্কা পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় তিনটি মোবাইল ফোন, ৬টি সিমকার্ড, দুটি ইউএনএইচসিআরের সিল, দুটি সিল প্যাড, চেক বই এবং সরকারি গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দপ্তরের নাম ও ঠিকানা সম্বলিত প্যাড।
সম্প্রতি একটি চক্র নিজেদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সরকারি, বেসরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের পিডি, এমডি সেজে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মালামাল ক্রয়ে ভুয়া চেক দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিল। এছাড়াও তাদের একটি সঙ্ঘবদ্ধ প্রতারক চক্র রয়েছে, যার মাধ্যমে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন ব্যক্তি ও ব্যবসায়ীর সঙ্গে ভুয়া নাম-পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়িক লেনদেন করে এবং ভুয়া চেক প্রদানের মাধ্যমে জালিয়াতি করে থাকে।
এ বিষয়ে কয়েকজন ভুক্তভোগী র্যাব-২র কাছে আইনি সহয়তা কামনা করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।
এএসপি শিহাব করিম আরও বলেন, আসামি মো. মহিউদ্দিন মজুমদার নিজেকে বড় বড় সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের পিডি, এমডি ও নিরাপত্তা কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনে মালামাল কেনার আদেশ দেন। পণ্য সরবরাহকারীকে দেওয়া কাগজে ব্যবহার করেন সরকারি দপ্তরের নাম, ঠিকানা ও সিলমোহর। এসব মালামালের টকা তিনি নগদ পরিশোধ না করে বাহকের মাধ্যমে চেক পাঠিয়ে দেন। ভুক্তভোগী কোম্পানি চেক দিয়ে টাকা ওঠাতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায় সেগুলো ভুয়া।
এরপর ভুক্তভোগীরা আসামিকে ফোন দিলে তার মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। ভুক্তভোগীরা খোঁজ নিয়ে বুঝতে পারেন, তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। চক্রটির স্থায়ী কোনো অফিস না থাকলেও বিভিন্ন সময় ব্যবসায়ীদের কাছে বিশ্বাস অর্জনের জন্য ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় নিয়ে মালামাল কেনার চুক্তি চূড়ান্ত করতো।
গ্রেফতার মহিউদ্দিন মজুমদার কোম্পানি থেকে মালামাল আনার জন্য নিজস্ব গাড়ি ব্যবহার না করে অ্যাপভিত্তিক ভাড়া গাড়ি ব্যবহার করতেন। তিনি এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে ছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে জামিনে মুক্তি পেয়ে ফের প্রতারণা শুরু করেন। তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ছয়টির বেশি প্রতারণার মামলা রয়েছে।
টিটি/কেএএ